
রাজরশাহীর তানোরে ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ
দুর্গাপুর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ–শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মামলা সূত্রে জানা যায় আজ শনিবার (১৮ই সেপ্টেম্বর ) রাজশাহীর জেলার তানোরের উপজেলায়। ১০ বছরের ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ৫ম শ্রেনীর এক আদিবাসি ছাত্রী।এ সময় দুই যুবক এসে ভাইকে বেধে রেখে বোনকে ধর্ষন করেছেন বলে অভিযোগে পাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ভিকটিম আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে রবিবার সকালে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসিপাড়ার জনেক ব্যাক্তির ৫ম শ্রেনীর পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুই ভাই বোন বাড়ি ছেড়ে আধা কিলোমিটার দুরে মাঠে ঘাস কাটতে যায়।
দুই ভাই বোনই একই স্কুল চক রহমত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। এমন সময় একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) সময়টা দুপুর ও ফাকা মাঠে হওয়ায় এবং ছোট দুই ভাই বোনকে একা পেয়ে। আলি নামের ওই যুবক তার ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে। আর জনি নামের আরেক যুবক ওই আদিবাসী ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীকে মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এবং ফেলে রেখে চলে যাই। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের, সহযোগিতায় ধর্ষনের শিকার আদিবাসি ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ধর্ষনের শিকার আদিবাসি ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই ভিকটিমের পরিবার একটি ধর্ষনের মামলা করেছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি