
আমার জন্মদিনে—-
শরণংকর বড়ুয়া
৫ নভেম্বর,আজ আমার জন্মদিন।
বরাবরের ন্যায় ভুলেই গিয়েছিলাম।ফেসবুক আমাকে স্মরণ করে দিল।সাড়াদিন অনেকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালো, সকলকে ধন্যবাদ।ভোর হতেই দোয়েল, কবুতর, কাক,চড়ুই,ময়নারা এসে গান শুনালো জানালায় বসে।অন্যদিনের চেয়ে আলাদা ভাবে।
ঘুম ভাঙ্গলো কিচিমিচি শব্দে বাসার সকলের,পাখিরা আমাকে দেখে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো মনের আনন্দে লেজ নাড়িয়ে।কিন্তু তাদের অনেক ভাষা বুঝা কষ্টকর তবে এদের ভাব কথনে যে আন্তরিকতা তা
বুঝতে বাকী রইল না।তাদের প্রতি মায়া জাগলো কিছু দিলাম খেয়ে আনন্দে চলে গেল।এদের চাহিদা খুবই সীমিত।কী সুন্দর সোনালী সকাল আকাশে খন্ড খন্ড মেঘ হেমন্তের মিষ্টি বাতাস বইছে।খুব ভালো লাগছে, মন ছুঁইয়ে গেছে।দক্ষিণ জানালার পাশে বসেফেলে আসা স্মৃতি গুলোর কথা ভাবছি।বাইরে দেখছি মন ভরে, চারদিকে বিল্ডিং-এ আড়ালে পৃথিবীটা ডুবোছিলো।অজস্র সুখের পিষ্ঠে কালো মেঘ।
দীর্ঘশ্বাসে কেঁদে ওঠে হ্নদপিন্ড।এখানে নেই অসহায় বয়স্ক মানুষের জন্মদিনের আনন্দ।হ্নদয়ের গহিনে জমে আছে শুধু অনন্ত কান্না।খুবই কঠিন, শহরের মানবিক জীবন।হাইরাজ বিল্ডিং- এর দুষিত শ্বাসে বিষন্নতায় ভরা।যান্ত্রিক এই শহরে পথ চলা হয় না সবুজ ঘাসের বুকে। মুক্ত বাতাসের আনাগোনা নেই।
জমে থাকা শোকের নীরবতায় শুধু হ্নদয়ের আর্তনাদ।