
“প্রবারণা উৎসব”
কবি অধ্যাপক জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া
বুদ্ধ ধর্ম সংঘ নামে
শরণাপন্ন হবে,
ত্রিশরণ এ দীক্ষিত হলে
প্রবেশ হবে তবে।
সৎ জ্ঞান সত্য বোধ
উপলব্ধি আসবে যখন,
তিনিই বৌদ্ধ হবেন
গণ্য হবেন তখন।
বৌদ্ধ ধর্ম জ্ঞানীর ধর্ম
প্রজ্ঞাবান হও,
লোভ দ্বেষ মোহ ত্যাগ করে
মৈত্রী পরায়ন হও।
বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে
প্রবারণা পূর্ণিমা,
ফানুস বাতি আকাশ ছোঁয়া
ধর্মের একি মহিমা।
আশ্বিনী পূর্ণিমা দিনে বৌদ্ধধর্মে
প্রবারণা উৎসব হয়,
কুশল-অকুশল, বরণ-বারণ
জ্ঞানের চর্চা হয়।
ফানুস বাতির আলোয় সেদিন
আকাশ হয় আলোকিত,
উৎসর্গ করে তুলতে গিয়ে
বৌদ্ধরা হন পুলকিত।
প্রতি বিহার থেকে শত শত
উঠতেই থাকবে ফানুস বাতি,
অনুভূতি আর আনন্দ নিয়ে
বিহারে গিয়ে করেন মাতামাতি।
পরদিন থেকে একমাসব্যাপী
কঠিন চীবর দান হয় শুরু,
বিহারে বিহারে ধর্মপ্রচার করবেন
বৌদ্ধ ধর্মের সকল ধর্মগুরু।
বহু জন হিতায়,বহু জন সুখায়
মন্ত্রে শান্তির বাণী করে যাবেন প্রচার,
জগতের সকল প্রাণীর প্রতি
মৈত্রী পোষণ করাই হচ্ছে একমাত্র সার।
মাননীয় ভিক্ষুসংঘরা একমাসব্যাপী
রত থাকবেন ধর্মপ্রচারে,
দানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই দান
ফিরে আসে একবার বছরে।
আশ্বিনী পূর্ণিমা থেকে কার্তিকী পূর্ণিমায়
মাসব্যাপী চলবে কঠিন চীবর দান,
সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন বৌদ্ধরা
শ্রবণ করবেন কখন ধর্মের জয়গান।
ধর্ম আচরণ,ধর্মচর্চা ধর্মঅনুশীলন করো
চলো শান্তির পথে-করে যাও সৎ কর্ম,
বিশ্বের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা
এটাই তথাগত বুদ্ধের প্রচারিত ধর্ম।
নিউজটি পড়েছেন : ১৯৭