
চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার
নিউজ ডেক্সঃ- গত ২০০৫ সালে আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক এবং নিহত ভিকটিম সাবিনা খাতুন এর সাথে পারিবারিক ভাবে ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে স্বামী রফিকুল ইসলাম এবং তার পরিবার ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালের রমাজান মাসে ভিকটিমের পরিবার ইফতারি নিয়ে সাবিনা খাতুনের শ্বশুর বাড়ি আসে। ভিকটিমের পরিবার ইফতারি কম পাঠানোর অভিযোগে আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং তার পরিবার ভিকটিম সাবিনাকে মারধর করে। পরবর্তীত গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ইং তারিখ ভোরবেলা আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম স্ত্রী সাবিনা খাতুনকে বাড়ির পাশে খালপাড়ে ডেকে নিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ খালের পানিতে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানার একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ০৮(০৯)০৯ ; ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন ২০০০ (সং/২০০৩) এর ১১(ক)। মামলা দায়েরের পর হতে আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে পলাতক আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক’কে মৃত্যুদন্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মামলাটির রায় ঘোষণার পর থেকেই মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক’কে গ্রেফতারে লক্ষে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উল্লেখিত হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৫ আগস্ট ২০২৩ইং তারিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম @ রফিক (৩৫), পিতা- আবুল খায়ের, সাং- পশ্চিম লম্বা বিল, থানা- ভূজপুর, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যা মামলা মৃত্যুদন্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে