শুক্রবার,২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রশাসন চট্টগ্রামের উচ্ছেদ অভিযানে ফয়েজ লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকায় ৮ একর পাহাড়ি জমি থেকে ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

 প্রশাসন চট্টগ্রামের উচ্ছেদ অভিযানে ফয়েজ লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকায় ৮ একর পাহাড়ি জমি থেকে ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিউ ডেক্সঃ-  চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়সমূহ রক্ষার্থে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) কর্তৃক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং-৯১১৪/২০২২ এবং আপীল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল নং-২৪৯২/২০২২ এর রায় বাস্তবায়নে আজ ০৬ জুলাই ২০২৩ সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকাল ৪:৩০ টা পর্যন্ত আকবর শাহ থানাধীন ফয়েজ লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম তম সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক,চট্টগ্রামের নির্দেশক্রমে আজ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), কাট্টলী সার্কেল মো: উমর ফারুক। উচ্ছেদ অভিযানে সিএমপি’র ৭০ জন ফোর্স; আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন; পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ হাসান; মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পিডিবির টিম, কর্ণফুলী গ্যাস প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি এবং ৩০ জন আনসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, রীট পিটিশন নং-৯১১৪/২০২২ এবং লিভ টু আপিল নং-২৪৯২/২০২২ এ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যে: *চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা, আকবর শাহ থানা, খুলশী থানা, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর-আলীনগর এলাকা এবং অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় আইন ভঙ্গ করে, স্বত্ত্ব ব্যতিরেকে, অযৌক্তিকভাবে পাহাড় কেটে যে সকল স্থাপনা/ঘর গড়ে উঠেছে সেসকল স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে।*
এ বিষয় বিবেচনায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রামের পাহাড় সমূহ পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম আজকে শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনের অভিযানে ফয়েজ লেক সংলগ্ন লট-৯ পাহাড়তলী মৌজার ৮ একর পাহাড়ি জায়গা থেকে প্রায় ৫০০ টি (পাঁচশত) স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের পর জায়গা যাতে পুনরায় অপদখল না হয় এজন্য পিলার ও কাঁটা তারের বেষ্টনী স্থাপনা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
বেলতলীঘোনার উত্তর পাহাড়তলী মৌজার আরো প্রায় তিন একর পাহাড়ি খাস জমি অপদখল করে নির্মিত ঘরগুলোর মালামাল অপসারণ করা হয়েছে। সেখানে ৫০ টির মতো স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় বেষ্টিত এলাকা আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকুণ্ড, বায়েজিদ থানা সহ অন্যান্য সকল পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email