
মহেশখালী ঈদের দিন মেম্বার সালামত উল্ল্যাহর তান্ডবে পন্ড হলো কোরবানির তাবরুক বিতরণ, আহত ৩ জন
মহেশখালী(কক্সবাজার)প্রতিনিধি পবিত্র ঈদের দিনেও ক্ষান্ত নেই সন্ত্রাসীদের তান্ডব। এমন এক পাশবিক কর্মকাণ্ড ঘটেছে ঈদের দিন(বৃহস্পতিবার) মহেশখালীতে। মহেশখালী মাদক ব্যবসার ইন্ধন দাতা কুতুব জুম( ৮)ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার সালামত উল্ল্যাহর তান্ডব কর্মকাণ্ডে পন্ড হলো কোরবানির তাবরুক বিতরণ। আহত হয়েছে ৩ জন।এই বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক ২:২০-২:৩০ মিনিটে কক্সবাজারস্থ মহেশখালী থানা অন্তর্গত কুতুব জুম, খন্দকার পাড়ার দক্ষিণ খন্দকার পাড়া শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে।
পূর্বের ধারাবাহিকতায় ঐ এলাকার কোরবানির তাবরুক (গোস্ত) সবগুলিই মসজিদে জমায়েত করে দরিদ্রের মাঝে বিচরণ করা হয়। পূর্বের ধারাবাহিক নিয়মকে সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এবারের মসজিদে প্রাঙ্গনে দুস্থদের বিতরণের লক্ষ্যে তাবরুক গুলো জমায়েত করা হয়।
জনৈক প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কোরবানির তাবরুক গুলো বিতরণের লক্ষ্যে আনুমানিক ২:২০–২:৩০মিনিটে গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ মোঃ খালেদ (অপারেশন ম্যানেজার পূবালী ব্যাংক মহেশখালী শাখা) , মোঃ জলিল, মোহাম্মদ আব্দুল হক হিরন( সেইফ ন্যাচারাল অফ বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক) ও মোঃ নুরুল কবির(ব্যবসায়ী) স্থানীয় মসজিদ দক্ষিণ খন্দকার পাড়া শাহী মসজিদ প্রাঙ্গণে জমায়েত হন। বিতরণ পর্ব শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই মেম্বার সালামত উল্লাহ (প্রকাশ সালামত সিকদার) এর পালিত সন্ত্রাস/ মাদক বাহিনীরা(নুর আহমদ, শেখ আহমদ, রহমত উল্লাহ,আমান উল্লাহ,মঞ্জু, ভাতিজা মোস্তফা,ভাগিনা কলিম(মনি) নেজাম উদ্দিন প্রমুখ) ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা করতে থাকে।

উক্ত অমানবিক তান্ডব লীলায় আহত হয় প্রায় ১০ জন এর মধ্যে গুরুতর আহত হন ৩ জন। ৩ জনের মধ্যে ১ জন (আব্দুল জলিল) মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে আপাতত ঘরে অবস্থানে আছেন।অন্য ২ জন(মো আব্দুল খালেদ ও মোহাম্মদ নুরুল কবির) গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল ক্যাজুয়্যাল বিভাগে চিকিৎসারত রয়েছেন।
আহত মোহাম্মদ খালেক বলেন, সালামত উল্লাহ (প্রকাশ সালামত শিকদার) কখনো দক্ষিণ খোন্দকার পাড়া শাহী জামে মসজিদে নামাজ পড়তেন না। সব সময় তিনি নামাজ পড়তেন আল্লামা ফোরকান শাহ (রা) ইসলামিক কমপ্লেক্স এর এলাকার মসজিদে।
তিনি আরো বলেন, আল্লামা ফোরকান শাহ(রা) ইসলামী কমপ্লেক্স দাতা গোষ্টিকে ঐ কমপ্লেক্স থেকে বিতাড়িত করে সালামত উল্লাহ (প্রকাশ সালামত সিকদার) নিজে কর্তৃত্ব নিয়েছেন। ঈদের দিন সকালে (২৯ জুন বৃহস্পতিবার) নামাজ আরম্ভ নিয়ে মুয়াজ্জিনের সাথে সালামত উল্লাহর(প্রকাশ সালাম শিকদারের)বেশ বাড়াবাড়ি হয় বলে জানা যায়।এবং এক পর্যায়ে শান্ত হয়ে, যে যার যার পরিবারে গমন করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।