বৃহস্পতিবার,২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হিলিতে আবারো বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম

হিলিতে আবারো বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম

হিলি প্রতিনিধি(দিনাজপুরের):– হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ( ১৫ জুন) খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার ( ২২ জুন) জুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কম ছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে গেছে।

হিলি বাজারে কথা হয়, কাঁচামরিচ কিনতে আসা মো. হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার (হাটবার) কাঁচাবাজার করি। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ কিনি খুচরা ৬০ টাকা কেজি। আর এক সপ্তাহ পর আজ বাজারে এসে দেখি ১৪০ টাক কেজি। তাই ১ কেজির জায়গায় ৫০০ গ্রাম কিনলাম।’

আরেক ক্রেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বাড়িতে কাঁচামরিচ লাগেই। ভর্তা, সালাদসহ বিভিন্ন তরকারি রান্না করতে কাঁচামরিচের দরকার হয। এই প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে কিনলাম ৮০ টাকা কেজি। আর আজ ১৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে বেশি করে কিনে ফ্রিজে রাখালেই ভালো হতো। তাহলে আর কেজিতে ৬০ টাকা বেশি গুনতে হতো না।’

খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মো. এনামুল হক বলেন, ‘এ সপ্তাহে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ নেই বললেই চলে। তাই দাম বেশি। গত সপ্তাহে পাইকারি ৭০ টাক কেজি কিনে খুচরা ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আর আজ পাইকারিই কিনেছি ১২০ টাকায়। তাই খুচরা ১৪০ টাক কেজি বিক্রি করছি। কাঁচা পণ্য কেজিতে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় শুকিয়ে ওজনে কমে যায়। পচেও যায়। অবিক্রিত থাকে।’

পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জয়পুরহাটসহ অন্যান্য মোকাম থেকে কাঁচামরিচ কিনে এনে হিলিতে পাইকারি বিক্রি করি। গত সপ্তাহে মোকামে প্রতিকেজি ৬০ টাকা কিনে এনে পাইকারি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। গতকাল বুধবার (২১ জুন) মোকামেই কিনতে হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। তাই আজ বৃহস্পতিবার পাইকারি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি কেউ ১৩০ টাকা কেউ বা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।’

দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় মরিচের গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই মোকামগুলোতের আগের চেয়ে সরবরাহ কমে গেছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। টানা রোদ হলে হয়তো সরবরাহ বাড়বে। বাজারও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email