শনিবার,১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সেতু থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

পাঁচবিবি জয়পুরহাট প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চিরি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ৭ বছরেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রী সহ দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষকে। অপরদিকে চলতি বছরে চিরি নদী খননের পর বৃষ্টি ও জোয়ারে পানি আসায় সেতুটির বটম স্লাভের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে সুরুঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে । এর ফলে সেতুটি ডেবে গেছে এবং উপরের রেলিং ও পিলারে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী আশংকা প্রকাশ করেছে।

উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের আরজি অনন্তপুর ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের ভানাই কুশলিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী চিরি নদীর ওপর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। যার ব্যয় ছিল প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা। ৪০ফুট দৈর্ঘ্য এ সেতুর পশ্চিম পাশে কিছুটা থাকলেও পুর্ব পাশে নেই কোনো সংযোগ সড়ক।

আরজি অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, অনেক বছর ধরে একটি ব্রীজের অভাবে আমরা দুই গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগে ছিলাম। ৭ বছর আগে যখন ব্রীজটি হলো, তখন আমরা সবাই আশা করেছিলাম এবার হয়তো আমাদের কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তুু ব্রীজটি নির্মাণের ৭ বছর পার হয়ে গেলেও দুপারে কোন রাস্তা করা হয়নি। দুই পারের চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিকট ব্রীজের রাস্তার জন্য ধর্না দিয়েও কোন কাজ হয়নি । আমাদের কষ্ট কষ্টই থেকে গেল।

ভানাইকুশলিয়া গ্রামের ভ্যান চালক ফজর আলী বলেন, এখানে ব্রীজ হলেও রাস্তা না হওয়ায় ভ্যান নিয়ে এপার ওপার যাওয়া যায় না। ৭ বছর ধরে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে ব্রীজটি। জনগনের কোন কাজেই লাগেনি। তিনি আরো বলেন, নদীতে বর্ষার পানি আসায় ব্রীজের নিচে সুরঙ্গ হয়ে পানি যাওয়ার কারনে ব্রীজটির পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে যে কোন সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে যেতে পারে।

একই এলাকার রোকসানা খাতুন বলেন, এখানে যখন ব্রীজ ছিল না তখন আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারতো না। দুই গ্রামের লোক কোন পাড়ে যেতে পারতাম না। ব্রীজটি হওয়ার পর খুব আশায় ছিলাম আমরা দুই গ্রামের মানুষ এপার ওপার যাবো, আমাদের ছেলে মেয়েরা ব্রীজের উপর দিয়ে স্কুল কলেজে যাবে। কিন্তু ৭ বছর যাবৎ ব্রীজের দুপাশে রাস্তা না করায় সেই আগের কষ্টই থাকলো। বরং ব্রীজ হয়ে আমাদের দূর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email