বুধবার,২৮শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জয় বাংলা শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রামের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

জয় বাংলা শিল্পীগোষ্ঠী চট্টগ্রামের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-  জয় বাংলা শিল্পী গোষ্ঠী, চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে ৩জুন ২০২৩ইং শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় কদম মোবারক এম ওয়াই উচ্চ বালক বালিকা বিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। লেখক ও সংগঠক সজল দাশ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা নুরুচ্ছাফা মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, প্রাবন্ধিক ও সমাজসেবক ফজল আহমদ। উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি জেএসপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দীপক কুমার পালিত। মুখ্য আলোচক ছিলেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর সহ সভাপতি কবি আশীষ সেন। প্রধান আলোচক ছিলেন সাংবাদিক কিরণ শর্ম্মা। আলোকিত অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন রাজনীতিবিদ স্বপন সেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন জয়বাংলা শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজল দাশ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, আবৃত্তিশিল্পী মনজুর আলম, শিল্পী নারায়ণ দাশ, তবলা শিল্পী বেতার ও টিভির কানুরাম দে, মোপলেস এর সাধারণ সম্পাদক নিলয় দে। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রোকন উদ্দিন আহমদ, সংস্কৃতিকর্মী দিলীপ সেন গুপ্ত, সুপ্রিয়া মন্ডল প্রিয়াংকা, আবদুল্লাহ ও মো: জাফর আলম প্রমুখ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক অচিন্ত্য কুমার দাশ, আবৃত্তি পরিবেশন করেন সোমা মুৎসুদ্দী। প্রধাান অতিথি গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ বলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য অঙ্গনের প্রাণপুরুষ। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ব সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের গাওয়া গানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতাকে উজ্জীবিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য। তিনি তাদের দুইজনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন এবং সাথে সাথে জয়বাংলা শিল্পীগোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান এই মহান দুইজন শিল্পীকে নিয়ে জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য। উদ্বোধক দীপক পালিত বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সল্প পরিসরে তাদের নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান আমাদের জাতীয় সঙ্গীত এবং নজরুলের লেখা গান আমাদের রণসঙ্গীত। মুখ্য আলেচকের বক্তব্যে কবি আশীষ সেন বলেন রবীন্দ্র-নজরুলকে বাদ দিয়ে কখনো বাংলা সাহিত্যের কথা চিন্তাও করা যায় না। তাদের সৃষ্টিশীল কাজগুলো সংরক্ষণ করা খুবই জরুরী। সভার সভাপতি নুরুচ্ছফা মুন্সি বলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে জয়বাংলা শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনটি একটি মানসম্পন্ন দৃষ্টিনন্দন অনুষ্ঠান। তারা দুইজন ছিলেন প্রেমের কবি, মানবতার কবি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। সভার এক প্রস্তাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ ডা: আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং সাথে সাথে সৃষ্টিকর্তার কাছে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email