সোমবার,১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শাবিপ্রবির নতুন উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে শপথ পাঠ করালেন সমন্বয়করা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেনকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর কনফারেন্স রুমে এ শপথ বাক্য পাঠ করান তারা।
আজ শুক্রবার শপথ পড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ সময় দেখা যায় নব-নিযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন ছাত্র আন্দোলন নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার সাস্টের সভাপতি পলাশ বখতিয়ার।
সেখানে ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনীতি বন্ধ, যা বললেন সারজিস আলম

 শপথে “শুকরিয়া যে, আমরা ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি লাভ করেছি। আজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে যোগদানের মুহূর্তে ২৪ শে জুলাইয়ের সকল শহীদদের স-স্বত্বচিত্তে স্বরণ করছি, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। মহান জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ও আদর্শকে সমুন্নত রাখতে আমরা শপথ করছি যে, বিপ্লবী সরকার কর্তৃক যে দিক নির্দেশনা আমরা পেয়েছি, এবং জুলাইয়ের ছাত্র জনতার বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থী বান্ধব শিক্ষা এবং গবেষণা উন্নয়নে সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সচেষ্ট থাকব।
দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ও শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য আপোষহীনভাবে নিয়োজিত থাকব। আমাদের বিদ্যা, গবেষণা সৎ কাজের মাধ্যমে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবি দেশের জনগণের এবং বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে যেন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, তা নিশ্চিত করব।” এসব বাক্য বলতে শোনা যায়।শপথ পাঠের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরলের পর বিষয়টি নিয়ে নেটমাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
নতুন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘বিষয়টি পরিকল্পিত কোনো শপথবাক্য পাঠ না। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুরু পরিবেশটি হয়ে পরে শোকাবহ, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ক্ষোভ, দেশের চলমান ঘটনার প্রেক্ষাপটে ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের উচ্চ প্রত্যাশা এবং নতুন প্রশাসন আসায় অতিমাত্রায় আবেগে আপ্লুত হওয়া ইত্যাদির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের  তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাক্যগুলো সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছে। ঘটনাটি যেভাবে সমালোচিত হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এমনটি হয়নি।’
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email