
–—-শরণংকর বড়ুয়া—–
হুজুগি বাঙালি
লডর বডর দেশত, চদর বদর কারিগর।
কি গড়ি ভালা তাগি, ক্যান হইব নবুজির।
অ্যাঁইয়ের অ্যাঁইয়ের অ্যাঁইয়ের,
ডাকাইত অ্যাঁইয়ের ডাকাইত।
শান্তি নাই ঘুম নাই, আতংকে কাডে রাইত।
কনডইল্ল্যা দেশ,কনডইল্ল্যা স্বাধীনতা, কন দেশত বাস গড়ির চলের অরাজগতা।
আঁরা মানুষগুন কিরইম্যা বেঈমান, বেয়াক হারাই বুইজম দেশর সম্মান।
আল্লাহ্ বউত চিন্তাত পর্যে, দুনিয়াত আঁরারে পাডাই।
যত পাই তত চাই, চাইবার শেষ নাই।
কডে কি হইয়ে, বুইজদাম নচাই, ভালা মন্দ নবুঝি উয়া ফালাই।
হুজুগি বাঙালি বুজুরগর দেশ,
দেশসান আঁর গেইঅই শেষ।
বাকরুদ্ধ
এই শহরে অলিগলি কালিমাখা,
রক্তের দাগে কলঙ্কিত।
সারি সারি আকাশচুম্বী দালান,
অচেনা মুখের ভিড়ে বৈষম্যের স্বীকার।
উত্তাল শহর, চারিদিকে বারুদের গন্ধ,
মানুষ গুলো বহুরুপী।
নীতিহীন সস্তা কিছু আন্দোলন,
স্বার্থের পিছনে ছুটে লোভী মানুষ।
চলে ধংসের আনাসৃষ্টির উৎসব।
এখানে কোন বিপ্লব নেই,
নতুন কোন সৃষ্টি নেই।
স্বপ্ন দেখতে মানা।
শুধু ক্ষমতায়নের দৌরাত্ম্য,
জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই।
জুলুম বাহুবল হাইজাক আর ধর্ষণ।
চড়া দামে বিক্রি হয় মানবতা,
ন্যায় সততা অনুপস্থিত।
সব কিছু মেকি বানোয়াট।
বিশ্বাসের ভিতর ক্যান্সারে আক্রান্ত।
আধুনিকতার সিঁড়িতে উঠে বিবেক ধংস,
প্রেমের নামে ছলনা আর নোংরামি।
সস্তায় বিক্রি হয় নারীর শরীর,
নিষিদ্ধ জিনিসের রমরমা ব্যবসা।
অসহায় শিশুদের আর্তনাদ,
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি- কেউ দেখার নেই।
রন্দ্রে রন্দ্রে দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ।
হাসিতে মিশে আছে ভেজাল,
মুখোশের পিছনে মুখোশ।
বাকরুদ্ধ, ভাষাহীন ভিজে যায় দু’চোখ।
শান্তি হাটে– শান্তি নাই
পরিবেশটা এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।
না ভালো, না শান্তি। কেমন আছি, কেমন থাকবো কেউ জানে না।
শুধু মন ভর্তি টেনশন, হ্নদয় ভরা কষ্ট।
মুখে মিথ্যা হাসি, সুখে আছি অভিনয় করে বেচেঁ আছি।
শান্তির হাটে গিয়েছিলাম সুখ আর শান্তি কিনতে,
কিনতে পারিনি, সুখ শান্তি হাটে উঠেনি।
তবে, খালি হাতে ফিরিনি।
বেদনা আর কষ্টরা মিনতি করলো, তাই তাদের আদর করে নিলাম।
নিয়ে মহাবিপদে–
মমতায় সিক্ত করলাম, যা যা
চাইলো তা দিলাম, হলো না।
অগোচরে ইন্দনে প্রচণ্ড ক্ষেপে উঠলো। এরা দল বেঁধে একত্রিত হয়ে দাবি পর্দ্দ আকারে বড় করলো, বিশ্বাসঘাতকতা চরমে উঠলো।
কার উপর ভরসা করবো স্বার্থপর বেঈমান আদিপত্যের রাজত্ব। হতাশায় চোখ ভর্তি টেনশনে কাটছে দিন।
নিউজটি পড়েছেন : ১৯৮