শুক্রবার,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিভাগীয় ইনোভেশন শোকেসিংয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রথম ও শ্রেষ্ঠ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনোভেশনের বিকল্প নেই  বিভাগীয় কমিশনার

 শ্রেষ্ঠ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনোভেশনের বিকল্প নেই 

—–চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ের ‘ইনোভেশন শোকেসিং’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ৭৯টি উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্যে বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলীর নিরপেক্ষ বিচারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ পটিয়ার ‘হাইদগাঁও স্মার্ট ভিলেজ’ প্রথম ও শ্রেষ্ঠ হয়েছে। আজ ২৪ মার্চ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানস্থ শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের হাত থেকে উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। উদ্ভাবনী উদ্যোগে ‘নদী ও খাল-বিলের জন্য কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে জৈবসার উৎপাদন করে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’র জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ‘এগ্রিকালচার রোবট উইথ এনভায়রনমেন্ট মনিটরিং’র জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) চট্টগ্রাম যুগ্মভাবে দ্বিতীয়, ‘নকল ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ও রেজিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়-তৃতীয় এবং ‘ডিসি এডভেঞ্চার ও ইকো ট্যুরিজম পার্ক’র জন্য খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়-চতুর্থ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার গাজালা পারভীন রুহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা বিপিএম (বার), পিপিএম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী এস.এম খসরুল আলম কুদ্দুসী। এদিকে বিভাগীয় পর্যায়ের ‘ইনোভেশন শোকেসিং’-২০২৪ সমাপনী দিন আজ ২৪ মার্চ রোববার সকাল ১১টায় একই ভেন্যুতে “স্মার্ট বাংলাদেশ ও উদ্ভাবন ঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার গাজালা পারভীন রুহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী এস.এম খসরুল আলম কুদ্দুসী। আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বিকর ইকবাল, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন ও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম চাপ্টারের চেয়ারম্যান স্থপতি আশিক ইমরান। ইনোভেশন শোকেসিং-এ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা, উপজেলা, সরকারি ও বেসরকারীসহ মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৭৯টি আইডিয়া উপস্থ্াপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার এডিসি, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, উদ্ভাবন উদ্ভাবকগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইনোভেশন শোকেসিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনোভেশনের বিকল্প নেই। এ জন্য সরকার ইনোভেশনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এ ইনোভেশন শোকেসিং এর উদ্দেশ্য হলো আমরা স্মার্ট এবং আধুনিক হব। কোন নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে যাতে প্রতিবন্ধকতার কবলে না পরে সেজন্য নতুন নতুন ইনোভেটিভ উপায় বের করার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ঘরে বসে টেকনোলজি ব্যবহার করে অনেক কাজ করে ফেলছে। বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের মধ্যে একটি হলো ই-নথি। এটার ফলে কাগজের ব্যবহার কমে যাচ্ছে এবং মানুষ কষ্টের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে। সরকার মোবাইলে বিক্যাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিল ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করে দিচ্ছে। তরুণ সমাজ বা বিভিন্ন দপ্তর তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলোর সমাধান বের করার জন্য তাদের কি ধরনের চিন্তাধারা রয়েছে তা প্রকাশ করার জন্যই এ ইনোভেশন শোকেসিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিবৃন্দরা বলেন, ইনোভেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ফলে সেবা সহজীকরণে অনেক কিছু উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে, এর সুফল পাচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। কৃষকের জানালা, জমির ই-নামজারি, জমির খাজনা প্রদান, অনলাইন জিডি, ই-পাসর্পোট, ই-টিকেটিং, অনলাইন জিডি, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ অনলাইন ভেরিফিকেশন, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক ও হট লাইন, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং সিস্টেম ও ই-লার্নি সেন্টার স্থাপন সহ অসংখ্য মাধ্যমে দেশের জনগণ কম সময়ে, কম টাকায়, ঘরে বসে সেবা নিতে পারছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email