
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

দীর্ঘদিন ধরে স্থবির ও কমিটিবিহীন অবস্থায় থাকা জাতীয় সনাতন ধর্মীয় সংগঠন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ এর নতুন আহ্বায়ক কমিটি ২৬জুন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। নবগঠিত এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশিষ্ট সংগঠক সমাজসেবক ও দানশীল ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ এস. আনন্দ সাহা এবং সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তরুণ সমাজকর্মী সৌরভ প্রিয় পাল।
এই সিদ্ধান্তটি পরিষদের অধিকাংশ দাতা ও আজীবন সদস্যদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে তৎকালীন সভাপতি সুকুমার চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তবে দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগ এবং নির্বাচন বাতিল হওয়ার ফলে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া থমকে যায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটি কার্যত অভিভাবকহীন অবস্থায় ছিল।

এমন প্রেক্ষাপটে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের অধিকাংশ আজীবন ও দাতা সদস্য বৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসন্ন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মহোৎসব উদযাপন এবং পরবর্তী কাউন্সিল বা নির্বাচনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগঠন পরিচালনার জন্য ৪৪১ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) আহ্বায়ক কমিটি ও ১১১ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেন। উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জয়ন্ত কুমার কুন্ড ও অমলেন্দু দাশ অপু সহ সনাতনী সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নবনির্বাচিত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এস. আনন্দ সাহা বলেন, বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা দীর্ঘদিন যাবত সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি বাংলাদেশের সনাতনী সমাজের ঐক্যের প্রতীক। সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও সমন্বিতভাবে পরিচালনা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাকে সংগঠনের আহবায়ক নির্বাচিত করায় আমি দাতা ও আজীবন সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ।
সদস্য সচিব সৌরভ প্রিয় পাল বলেন,বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটির বেশি সনাতনী জনগোষ্ঠীর অভিভাবক সংগঠন এই পরিষদ। সেই হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেক সনাতনীই এই সংগঠনের অংশীদার বা সদস্য। আমরা সবাইকে সাথে নিয়েই কাজ করতে চাই। জন্মাষ্টমী মহোৎসবের সফল আয়োজন এবং একটি সুশৃঙ্খল, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী কমিটি গঠনই আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনাতনী সমাজের ধর্মীয় সংগঠনের বহু নেতাকর্মী ও সাধারণ সদস্য এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই কমিটি বিভাজন নয়, বরং ঐক্যের বার্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে।