
সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ সভা
নিউজ ডেক্সঃ- অদ্য ৩১ আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ, বৃহস্পতিবার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই), চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম এর আয়োজনে জেলা সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে জেলা পর্যায়ের অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জনাব মোঃ তোফায়েল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মনির হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সচিব (প্রবিধি-১), অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পরিবহন শ্রমিক, এনজিও কর্মী, ইমাম, পুরোহিত, তৃতীয় লিঙ্গ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের সমাগম হয়। সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে চালুকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম সর্ব সাধারণকে অবহিত করার লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মুখ্য আলোচক জনাব মনির হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সচিব (প্রবিধি-১), অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় বলেন- ২০১২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা প্রদান করেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর লক্ষ্যে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক ৩১-০১-২০২৩ খ্রি. তারিখ “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩” পাশ করা হয়। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বৎসর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বৎসর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বৎসরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। সর্বজনীন পেনশনের আওতায় মোট ০৪টি স্কিম রয়েছে। এগুলো হল: প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা। তিনি আরো বলেন, আপাতত সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ সর্বজনীন পেনশনের আওতা বহির্ভূত হবেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিগণ তাহাদের জন্য প্রযোজ্য স্কিমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, স্কিমে অংশগ্রহণ করিবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করিতে হইবে। তিনি এ সম্পর্কিত একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টশেন সবার উদ্দেশ্যে প্রদর্শন করেন। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের পর উপস্থিত সকলের কাছ থেকে প্রশ্ন গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক তাঁর সম্ভাব্য উত্তর প্রদান করেন।
প্রধান অতিথি জনাব মোঃ তোফায়েল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বলেন- বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ (সতের) কোটি। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২% কর্মক্ষম। ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা সম্ভব হলে তারা একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবেন। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ধীরে ধীরে আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাবে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং বয়স্ক জনসাধারণের সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। তাই তিনি এর অন্তর্ভুক্ত সকলকে পেনশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বুব্ধ করেন।

সভাপতি জনাব আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন- নিঃসন্দেহে এ ধরণের উদ্যোগ বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। এ স্কিমে সকলকে অংশগ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহান উদ্যোগকে সফল ও বাস্তবায়ন করার অনুরোধ এবং উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।