
দেনমোহরের যাতা কলে বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-চট্টগ্রাম জেলার বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী ফায়ার সার্ভিস এলাকায় গোলক সওদাগর কলোনির ৪ নং গলিতে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যাকৃত গৃহবধূর নাম তাহমিনা আক্তার(১৯)পিতার নাম মোহাম্মদ জামাল। তারা তিন বোন এক ভাই। বোনদের মধ্যে তাহমিনা আক্তার বড়। সে একজন নিট গার্মেন্টসের কর্মী বলে জানা যায় । আনুমানিক ১৫/১৫ দিন পূর্বে তুলাতুলি জামাই বাজারে অবস্থিত নাতের আলীর পুত্র রাসেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।উল্লেখ্য যে তাদের বিবাহ কোন সামাজিক পর্যায়ে সংগঠিত হয় নাই। সেই জন্য গৃহবধূকে তার স্বামী রাসেল তার বাপের বাড়িতে উঠাতে করতে পারিনি। গৃহবধূর পিতার বাসার সামনা-সামনি একটি বাসায় ভাড়ায় থাকে।
আত্মহত্যাকৃত গৃহবধূ চাচতো ভাই সাগর জানায়, গত ২৪ শে জুন রাতে আত্মহত্যা কৃত গৃহবধূ পরিবারের সাথে রাসেল ও তার পরিবার দেনমোহর নিয়ে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের চাহিদা বরাবর দেনমোহর দিতে রাজি হয়।
গত ২৫ শে জুন রোজ রবিবার সকাল ৭ টার সময় আত্মহত্যাকৃত গৃহবধূর বাসার দরজা খোলা দেখেন গৃহবধূর পিতা জামাল।
স্থানীয় জনৈক এক মহিলা জানায় আজ( ২৫শে জুন)সকাল ১১:৩০ মিনিটে তাহমিনার (গৃহবধূ) স্বামীর রাসেলকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছেন। আনুমানিক ১২ টায় তাহমিনার বাবা তাহমিনার বাসার দরজা বন্ধ দেখলে বারবার দরজা আঘাত করে। ৪/৫ মিনিট ধাক্কা দেওয়ার পরও ভিতর দরজা না খুললে এক পর্যায়ে তামিনার বাবা দরজা ভেঙ্গে বাসার প্রবেশ করে। এবং দেখতে পায় তাহমিনা একলাই রুমে এবং ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলানো অবস্থায়।
বাকুলিয়া থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও দুজন কনস্টেবল উক্ত আত্মহত্যাকৃত স্থানে যান এবং আত্মহত্যাকৃত গৃহবধূর আলামত যাচাই করেন। এক পর্যায়ে আত্মহত্যা কৃত গৃহবধূর লাশটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাল্টানো হয়।
স্বামী রাসেল পালাতক বলে বিবৃতি প্রদান করেন চাচতো ভাই সাগর।
আনুমানিক ৫:৩০ মিনিটের দিকে বাকলিয়া থানায় এসআই জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, উক্ত ঘটনার লক্ষ্যে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিউজটি পড়েছেন : ১৭১