
কারণ উল্ল্যেখ না করে আকস্মিক হুমকি প্রদানে থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ হান্নান রহিম তালুকদারের নামে
৭ জুন যথারীতি সংবাদ সংগ্রহের নিমিত্তে সম্পাদক সুমন বড়ুয়া আনুমানিক সময় ০১:৩০মিনিট বদ্দারহাটস্থ আহাম্মদ হোসেনের অধীনে পরিচালিত রেজিঃ ১৮৪৮ (৭ নং রোডের পরিচালিত টেম্পো অফিস) যান। ঐ সময় অফিসে ৭ নং লাইনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হারুন সহ বেশ কয়েকজন মোটর শ্রমিক উপস্থিত ছিল। সম্পাদক সুমন বড়ুয়া অফিসে অবস্থানের আনুমানিক ২০/১৫ মিনিট পর হান্নান রহিম তালুকদার নামে ব্যক্তিটি প্রবেশ করেন। ইতিপূর্বে হান্নান রহিম তালুকদারে সাথে সম্পাদক সুমন বড়ুয়া ভালো সম্পর্ক ছিল । কিন্তু অফিসে প্রবেশ করে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসে অবস্থান (১০/১২ মিঃ)করেন ততক্ষণ পর্যন্ত হান্নান রহিম সম্পাদক সুমন বড়ুয়ার সাথে কোন কথা না বলে পুনরায় তড়িঘড়ি করে অফিস অবস্থানরত জনৈক ব্যক্তিকে নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েন। হান্নান রহিম তালুকদার বের হওয়ার আনুমানিক দুই তিন মিনিটের মধ্যে সহ-সভাপতি মোঃ হারুন অফিস বন্ধ করবে বল্লে সম্পাদক সুমন বড়ুয়া বের হয়ে চাঁদগাও থানার নিমিত্তে গাড়িতে উঠেন।
থানায় গিয়ে মোবাইল দেখলে,মোবাইলে অজ্ঞাত নামা একটি মিস কল দেখা যায় (উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বে মোবাইলটি ফ্লাশ করার কারণে সব নাম্বার মুছে গিয়েছিল)। সম্পাদক সুমন বড়ুয়া ওই নাম্বারে পুনরায় ফোন দিলে বিপরীত দিক থেকে জানায় তিনি হান্নান রহিম।

তখন সম্পাদক সুমন বড়ুয়া হান্নান রহিমকে বলেন “কি হয়েছে হান্নান “।বিপরীত দিক থেকে হান্নান রহিম জিজ্ঞেস করে তুমি কোথায়?সম্পাদক বলেন, আমার কোন প্রয়োজন আছে?প্রতি উত্তরে বলেন”জামান হোটেলের সামনে আস”। সম্পাদক বলেন, আমি তো থানায়, তুমি একটু থানায় আসো না ভাই। তখন হান্নান রহিম তালুকদার জিজ্ঞেস করে “জাবেদকে কিছু বলেছে কিনা ” প্রতি উত্তরে বলেন, কোন জাবেদের কথা বলছ ভাই, কি কোন ড্রাইভার। হান্নান রহিম বলেন, আহম্মদ হোসেনের অফিসে যে জাবেদ থাকে তার কথা বলছি।তখন সম্পাদক বলেন,আমি জাবেদকে কি বলবো!!!
সম্পাদক সুমন বড়ুয়া, হান্নান রহিম তালুকদারকে জানায় আমি চাঁদগাও থানায় আনুমানিক আধা ঘন্টা থাকবো তুমি ভাই থানায় আসো। তখন হান্নান রহিম তালুকদার আসবে বলে সম্মতি প্রদান করেন।
ইতিমধ্যে সম্পাদক সুমন বড়ুয়া, আহমদ হোসেন এর অফিস সহকারি জাবেদ এর সাথে (ফোনে) কথোপকথন করে জানতে পারেন যে “এই হান্নান রহিম তালুকদার বেশ কিছুদিন পূর্বে সুমন বড়ুয়া কেন এই অফিসে আসে জাবেদের কাছে জানতে চায়” জাবেদ বলেন ” ওনি আসেন চা নাস্থা খেয়ে চলে যান। ঐ(৭জুন) দিন জাবেদ পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে অফিসে আসেননি।
২বার ফোন করার পর আনুমানিক ২০মিনিট পর বহদ্দারহাট হতে চাঁদগাও থানায় আসেন। আসা মাত্র জাবেদের সাথে ফোনে কথা বলতে থাকে।এক পর্যায়ে ফোনটা আমাকে দেয় কিন্তু কথা বলা শুরু হতে না হতেই আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে আমার সামনে জাভেদকে বলে “ওকে যদি অফিসের আশে-পাশে দেখি আমি হাত পা ভেঙ্গে দিবো”। এই রকম হুমকি দিয়ে চলে যায়।ঘটনার সময় (২:৩০-৩:০০)।
ঐ দিন(৭ জুন)আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটায় ঘটনা বিষয়ে উল্লেখ পূর্বক চাঁদগাও থানা একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এই হান্নান রহিম তালুকদার তার সংগঠনে সম্পাদক সুমন বড়ুয়া কে(দৈনিক বর্তমান কথায় ব্যুরোচীফ থাকাকালীন ) সহ-সভাপতি হিসেবে রাখতে চেয়েছেন। তিনি তার প্রস্তাবে অসম্মতি প্রদান করলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক কখনো খারাপ ছিল না।