
রাসেল ভাই আমার সমবয়সী
দীপিকা বড়ুয়া
রাসেলের জন্ম ১৯৬৪ইং। আর আমার জন্ম ১৯৬৩ইং।রাসেলের পিতার ডাক নাম খোকা।আর আমার পিতার ডাক নামও খোকা।অন্তত দুটি বৈশিষ্ট্যে তো আমাদের মিল আছে।ওর শৈশব আর আমার শৈশবেও তো মিল থাকার কথা।মাঝে মাঝে ভাবি শিশুকালের বর্নিল জীবনগুলোর কথা।হাসি আনন্দ খেলাধুলা ইত্যাদি নির্ভয়ে,নিরাপদে মা বাবার ছায়াতলে, গুরুজনদের মিষ্টি বকুনিতে কাটানোর স্মৃতি।এভাবেই হয়ত রাসেলও বড় হয়ে উঠছিল।অথচ আমরা এখনও বহাল তবিয়তে সুখেদুখে বেঁচে আছি।আমাদের সমবয়সীমাটা হারিয়ে গেছে অনন্ত আকাশের মাঝে লক্ষ তারার ভিড়ে ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলছে তো জ্বলছেই।এত বছর পরেও যখন বাঙালী ভুলতে পারেনি ভাই তোমাকে।তুমি শতাব্দীর পর শতাব্দী এভাবেই আলোর মশাল হয়ে জ্বলো কোটি বাঙালীর হৃদয়ে।তোমার জন্ম সার্থক!
তুমি পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে মরেও বেঁচে আছ হে পিচ্চি বীর।পরিবারের সবাই এক এক করে তোমার সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। মাতাপিতা, ভাই সবাই।তখন তোমার কি অনুভূতি হয়েছিল তা জানার সুযোগ দিল না দূবৃত্তরা।কত পিশাচ হল তারা তোমাকেও ওদের কাছে পাঠিয়ে দিল!!!এ লজ্জা কোথায় রাখি!!! পরপারে ভাল থেকো।ওখানেও সবার প্রিয় হয়ে থেকো মায়াবী চেহারায়!
————————–
নিউজটি পড়েছেন : ২২৯