শনিবার,১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ জাতীয় শোক দিবস

আজ জাতীয় শোক দিবস

আবিদ হোসেন,

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ,ঢাকা

আজ ১৫ ই আগস্ট,জাতীয় শোক দিবস।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাতবার্ষিকী।১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতা স্থপতি,মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।ইতিহাসের কলঙ্কিত কালো দিন এটি। সেনাবাহিনীর কিছু উশৃংখল বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালায়। এই দিনে ঘাতকের বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনকের বুক।

মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষতবিক্ষত অবস্থা থেকে দেশকে পুর্নগঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে তিনি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন সেই সময়ই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এতে দেশ উন্নয়ন ও পুর্নগঠন নিয়ে বড় ধাক্কা সম্মুখীন নয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজি জামাল নিহত হয়েছে। এছাড়াও ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিবাত,আরিফ, বেবি, রিন্টু,বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি,তার অন্তঃসত্তা স্ত্রী আরজু এবং বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে আসা কর্নেল জামাল নিহত হন।সেই সময় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সহ ঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন।
১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায় ১৪ ই আগস্ট হত্যার প্রধান আসামি বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার, রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী মহিতুল ইসলাম ১৫ ই আগষ্ট সংগঠিত থানায় একটি এফআইআর দাখিল করেন।
১৯৯৬ সালের ১৪ই নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে নেস্ত করতে পার্লামেন্টে অর্ডিন্যান্স আইন বাতিল করে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি ২০জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। ১২ ই মার্চ ছয় আসামির আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিচারকাজ বন্ধ রাখে।দীর্ঘ ৬ বছর পর ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে আসামিকে আপিল করার অনুমতি দেয়।

২০০৯ সালে ১২ই নভেম্বর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয়।আদালত ১৯ নভেম্বর ৫ আসামির মৃত্যুদন্ড রায় দেন এবং আবেদন খারিজ করে।
২৮ জানুয়ারি ৫ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়।২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি হয়।

শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি,বেসরকারি সায়িত্ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধ নির্মিত ভাবে থাকবে এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দিনটি পালন করবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email