
চিত্রকলার মাধ্যমে সুকুমার বৃত্তির স্ফুরণ হয় —> এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম
২৫ তম রাফি স্মৃতি উম্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রজন্মের জন্য এবারের বড় হুমকি মাদকসহ নানান ধরনের ক্ষতিকর নেশা আসক্তি থেকে প্রজন্মকে মুক্ত রাখার জন্য চিত্রকলা চর্চা একটি একটি বড় মাধ্যম।অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। এ ধরণের প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে সেই প্রবৃত্তি জাগিয়ে তোলে। তিনি বরেণ্য শিল্পী জয়নাল আবেদিনের শিল্পকর্মের উল্লেখ করে বলেন, তার কর্ম দেশকে এক্ষেত্রে বিশ্ব অঙ্গণে এক অনন্য অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছে।চিত্রাংকন আমাদের মনের দুয়ার প্রসারিত করে এবং মননশীলতা সমৃদ্ধ করে।
চিত্রকলা হচ্ছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান বাহন উল্লেখ করে শিশুদের চিত্রাঙ্কনে উৎসাহিত করতে অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকতর ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।শৈল্পিক চর্চার মাধ্যমে একটি শিশু পরিণত হয় তার সৃজনশীল মেধার বিস্তৃত পরিসরে। তাই শিশুদের মেধার বিকাশে শুধু ক্লাসে বই পড়া নয়,সাংস্কৃতিক ও খেলার জগতেও তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
শিশুরা শুধু পড়াশোনা করলেই বড় হতে পারে না, প্রয়োজন মেধার সৃজনশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতির বিকাশ। তবেই শিশুর পুনর্বিকাশ হবে, সে তৈরি হবে পরিপূর্ণভাবে।’ এ জন্য শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চায় বেশি বেশি যুক্ত রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।সাহিত্য-সাংস্কৃতিক বলয়ে যুক্ত থাকা শিশু-কিশোররা কখনও মাদকাসক্ত হতে পারে না। এটা দেশ তথা সমাজের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, শিশুরা বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করলেই সে বুদ্ধিদীপ্ত একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে হয়ত আমাদের স্বাধীনতা পেতে আরও হাজার বছর লেগে যেত, বা হয়ত আমরা কোনোকালেই স্বাধীন হতে পারতাম না। কারণ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা করলে আমরা যা জানতে পারি, তা দেখে জানা যায় এ জাতির অন্য কেউ এ রকম এত ত্যাগ, এত আপসহীন, এত নিখুঁত রাজনীতি করেননি।বাঙালি জাতির যত গর্ব সবই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। আমরা যদি ইতিহাস দেখি, তাহলে দেখব এ জাতির ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই সারাবিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষ বঙ্গবন্ধুকে তাদের নেতা বলে স্মরণ করে। তাই বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
রোটারি ক্লাব অব ইসলামাবাদ চট্টগ্রামের সভাপতি সুমন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ওসমান গণী মনসুর, প্রকৌশলী মো: হারুন, মোহাম্মদ শওকত আলী, পাবেল রহমান, চবির ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, কাজী জাহেদ ইকবাল, রিয়াদ, মিশকাত, শিল্পী মিকাইল রশীদ।
নিউজটি পড়েছেন : ২২৩