মঙ্গলবার,২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী আব্দুস শুক্কুর’ গ্রেফতার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী আব্দুস শুক্কুর’ গ্রেফতার

নিউজ ডেক্সঃ– আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক আব্দুস শুক্কুর এর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত অপরাধের তদন্ত কার্য শুরু করে। পরবর্তীতে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং গত ২১ মে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আব্দুস শুক্কুর এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বর্ণিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে লক্ষে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন রুমানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী আব্দুস শুক্কুর (৭৭), পিতা-মৃত আলী রেজা, সাং-গুলগুলিয়াপাড়া, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুস শুক্কুর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া এলাকায় বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহেশখালীতে গণহত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুন্ঠন ও নির্যাতন করেন।

পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক অভিযুক্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ ০৮ বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন এবং সর্বশেষ কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকায় বসবাস শুরু করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email