
গুনের কাননে শিক্ষাবিদ,একুশে পদক প্রাপ্ত প্রফেসর ডক্টর বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পদার্থবিজ্ঞানী একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া পিএইচএফ ১৯৪৫ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি সোমবার চট্টগ্রাম জেলার রাউজাन উপজেলার ১২নং উরকিরচর ইউনিয়নের অন্তর্গত মহাসমাম আবুরখীলের নন্দনকানন এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত বৌদ্ধ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি আবুরখীল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আবুরখীল অমিতাভ উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় তিনি বাংলাদেশের বৌদ্ধদের মধ্যে এমএসসিতে প্রথম শ্রেণী প্রাপ্ত হন। ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক চুক্তির বিনিময়ে ভারতীয় বৃত্তি নিয়ে তিনি কোলকাতাস্থ সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে পোস্ট. এম. এসসি এসোসিয়েটশীপ ডিপ্লোমা অর্জন করেন। একই বৃত্তি নিয়ে তিনি ১৯৮২ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনিই প্রথম বিজ্ঞানে। ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এম. এসসি পাশ করার পর তিনি শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করেন এবং এই পেশা থেকেই অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কক্সবাজার কলেজ (বেসরকারী), রাংগুনীয়া ডিগ্রী কলেজ (বেসরকারী), সরকারী বি.এম কলেজ বরিশাল, চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারী সিটি কলেজ চট্টগ্রাম, পুনঃ চট্টগ্রাম কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় অধ্যাপনা শেষে অবসর গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও বিজ্ঞান অনুষদের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটি ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর দি এডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সেরও আজীবন সদস্য। পদার্থবিদ্যায় তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ সংখ্যা ১৭টি, যেগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ন্যাদারল্যাণ্ডস, ভারত ও বাংলাদেশের পদার্থবিদ্যা জার্নালে প্রকাশিত হয়। ৫টি অনুবাদ পুস্তিকাসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩টি এবং বিজ্ঞান বিষয়ক বই একটি। প্রফেসর বড়ুয়া নিজ গ্রামে আবুরখীল জনকল্যাণ প্রাইমারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, আশালতা কলেজের প্রস্তাবক ও সাংগঠনিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, অগ্রসার বালিকা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীনন সদস্য, করল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, ঢাকাস্থ ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান পরিষদের সঙ্গে ১৯৭০ সাল থেকে জড়িত এবং বর্তমানে পরিষদের সভাপতি এবং পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিঞা প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি।
সরকার গঠিত ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন চট্টগ্রাম আসলে কমিশনকে কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন। শিক্ষা-সামাজিক-সাংস্কৃতিক- সেবামূলক-উন্নয়নমূলক ও ধর্মীয় সংগঠনের সংগে সম্পৃক্ত থেকে তিনি দেশের সামগ্রিক কল্যাণে ১৯৬৬ সাল থেকে অদ্যাবধি কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের বজ্রকন্ঠের আহ্বানে সরকারি চাকুরীর মায়া ত্যাগ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ও মুক্তিসংগ্রাম চলাকালীন সময়ে তিনি আর সরকারী চাকুরীতে যোগ না SHOTO রিলার তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং একজন সরকারি গেজেটেড বীর মুক্তিযোদ্ধা।