
ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিই যানজট সৃষ্টির প্রধান কারণ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-নতুন ব্রিজ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতির কারণে যানজট সৃষ্টি প্রমাণ করলেন দৈনিক শুভেচ্ছা প্রতিদিনের প্রতিনিধি। আনুমানিক সকাল ১১ ঘঠিকায় একটি খবরের প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করার লক্ষ্যে দৈনিক শুভেচ্ছা প্রতিদিনের জনৈক বিশেষ প্রতিনিধি নতুন ব্রীজ এলাকায় অবস্থান করেন।
আজ ২৩ জুন জুমাবার হওয়াতে নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ হওয়াটি দেরি হয়। এবং সন্ধ্যা ৬ টায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করেন। ৪:৩০ থেকে প্রায় ৫:৫৫ পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসনের তিনজন ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় যানজট নিরসনের কাজ করে যাচ্ছেন।কিন্তু যে লাউ সেই কদু। চট্টগ্রামের ভাষায় বলে” আছে গরু নচয়ে হাল, দুঃখ থাকে সর্বকাল “।

এই পরিস্থিতি দেখে জনৈক প্রতিনিধি এক ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন”গাড়িগুলো গোল চত্বরটি না গুড়ে ডানে ইউ টার্ণ দিচ্ছে কেন?প্রতি উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কথা মানছে না।
তখন প্রতিনিধি আবারও বলেন “আপনাদের কথা না মানলে, মামলা ব্যবস্থা করুন ” এই কথা বলার সাথে সাথে তিনজন তিন দিকে চলে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে জনৈক প্রতিনিধি যানজট নিরসনের কল্পে দাড়িয়ে যান এবং সন্ধ্যা ৬:০৩ মিঃ হতে ৬:৪২মিঃ পর্যন্ত(প্রতিনিধি অবস্থা কালীন সময়) চট্টগ্রাম নতুন ব্রীজ এলাকায় কোন যানজট ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন একজন সাংবাদিক যদি এত সুন্দর ভাবে যানজট নিরসন করতে পারেন, এতগুলো ট্রাফিক পুলিশ করে কি? প্রশ্নটা রইল ট্রাফিক প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি?
নতুন ব্রিজ এলাকায় যানজট নিরসনের কল্পে সম্ভাব্য উপায়ঃ-
★দূরপাল্লার গাড়ি গুলি রাস্তার বাম পাশে সারিবদ্ধ ভাবে খাড়ানো।
★সংযুক্ত সড়কের সামনে গাড়ি দাঁড়ানো বন্ধ।
★ব্রিজ হতে আসা গাড়িগুলো ডানে ইউটার্ন দিতে না দেওয়া।
★১৭ নং রোড হতে নতুনব্রীজ অভিমুখী গাড়িগুলোকে গোল চত্বর ঘুড়ে আসার বাধ্য করা অন্যতায় মামলার ব্যবস্থা করা।
★নির্দিষ্ট স্টেশনের একই জাতীয় একটির বেশি গাড়ি অবস্থান করতে না দেয়া।
★গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করণ লক্ষ্যে নিদিষ্ট গাড়ীকে রোডের মাঝখানে না দাড়াইয়া রোডের পাশে দাড়ানো।