মঙ্গলবার,২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে বিএলএফ’র উদ্যোগে ঈদুল আযহার পূর্বে বেতন ও বোনাসের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

চট্টগ্রামে বিএলএফ’র উদ্যোগে ঈদুল আযহার পূর্বে বেতন ও বোনাসের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ– বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার পূর্বে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সাথে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি সমন্বয়, শ্রমিক বৈষম্য দূর করা, নিয়োগপত্র প্রদান, শ্রমিক রেশন কার্ড চালু এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৩শে জুন ২০২৩ইং) বিকেল ৩টায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ ওমরগণি প্লাজায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি পালন করেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নুরুল আবছার তৌহিদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা সৈয়দ রবিউল হক শিমুল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, জেলা মহিলা বিএলএফ’র সভানেত্রী গুলজার বেগম, রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক বিএলএফ নেতা ওমর ফারুক। প্রধান অতিথি সৈয়দ রবিউল হক শিমুল বলেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিককে ঈদুল আযহার পূর্বে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার সম্প্রতি শ্রম আইন সংশোধন করলেও আইনের বিধানাবলী সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয় এর বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা এখনো দেখি বিনা নোটিশে আমাদের শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে শ্রমিকদের হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এ অবস্থায় চলতে থাকলে সরকার যে উদ্দেশ্যে শ্রম আইন সংশোধন করেছে তা বাস্তবায়ন হবে না। এতে করে শ্রম বাজারে অস্থিরতা লেগেই থাকবে। তাই মালিক পক্ষ থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে শ্রম আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সঠিক তদারকি প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম হালকা মোটরযান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং বিএলএফ জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সেলিম মিয়া বলেন, ঈদুল আযহার পূর্বে সকল শ্রেণীর শ্রমজীবীদের বেতন ও বোনাস প্রদান এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মো. আনোয়ার হোসেন বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি দাবি করে সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে। মো. আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএলএফ’র কেউ নয়। তার ব্যক্তিগত অপকর্মের দ্বায়ভার চট্টগ্রাম মহানগর বিএলএফ বহন করবে না। আজকের এই প্রতিবাদ সভা থেকে বিএলএফ নেতৃবৃন্দ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। যদি ভবিষ্যতে সে বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর’র সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করে, তাহলে বিএলএফ কেন্দ্রীয় কমিটির দিক নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সামসুল ইসলাম আরজু, মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন, বিভাগীয় যুব কমিটির সভাপতি মো. আমির হোসেন, নগর যুব কমিটির সভাপতি জাবেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর, জেলা যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ, আকবর শাহ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, সুমন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটির নেতা মো. জসিম উদ্দিন, রনি ও জিয়া উদ্দিন রানা প্রমুখ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email