সোমবার,১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নাগেশ্বরীতে ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

নাগেশ্বরীতে ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

নাগেশ্বরী উপজেলা(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ-টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সবগুলো নদ-নদীর পানি। ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তীব্র স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে ছোট-বড় খাল-বিল, জলাশয় ও নদীগুলো।

বৃদ্ধি পেয়েছে দুধকুমার, ফুলকুমার, ব্রহ্মপুত্র নদ ও গঙ্গাধর, শংকোষ নদীর পানি। উজানের ঢলে তা ফুলে ফেঁপে উঠে তীব্র স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর বাঁকে বাঁকে তা আঘাত হানছে কিনারে। কোথাও দুকুল ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে তীব্র স্রোতে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভেসে গেছে বেশ কয়েকটি পুকুর। পানি যেভাবে প্রবেশ করছে তাতে বন্যার আকার বাড়তে পারে। প্লাবিত হতে পারে এসব এলাকার অনেক ঘর-বাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা জাহান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব।

এদিকে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বাড়ার আগেই উপজেলার চরাঞ্চলীয় ইউনিয়নগুলোতে নদী অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়ির চারপাশে পানি উঠে পানিবন্দি হয়ে পড়েছ এসব এলাকার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি, আমনের চারাসহ পাট ক্ষেত।

বামনডাঙ্গা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকাল থেকে তেলিয়ানীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে দুধকুমারের পানি লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। বড় বড় গর্ত হয়ে তলিয়ে যেতে থাকে বাঁধে থাকা জিও ব্যাগ। একসময় স্রোতের তীব্রতায় ভেঙে যায় প্রায় ২৫০ মিটার বাঁধ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা নদীর স্থায়ী ভাঙন রোধে কাজ করছি। এমতাবস্থায় বাঁধের কিছু নিচু জায়গা দিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। সে জায়গায় জিও ব্যাগ, জিও টিউব, বোল্ডার ফেলে উঁচু করা হচ্ছে। যাতে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকতে না পারে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email