
ফেনীর রামপুর এলাকা হতে ”নুরু গ্যাং” নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান মাহিদুল ইসলাম সুজন সহ ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭
সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যার মধ্যে ফেনী জেলা উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। ফেনী জেলাতে বিভিন্ন নামের কিশোর গ্যাং গ্রæপ কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই, মাদক ব্যাবসা জিরো টলারেন্স এবং এরুপ কর্মকান্ডে লিপ্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন রামপুর এলাকায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ১৫ জুন ২০২৩ ইং তারিখে বর্নিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত “নুরু গ্যাং” নামক কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান ১। মাহিদুল ইসলাম সুজন (১৪), পিতা- মোঃ রহিম আলী এবং তার সহযোগী ২। নুরুল ইসলাম নিশাত (১৬), পিতা- মোঃ নুরুন্নবী, ৩। মোঃ সাইদ (১৫), পিতা- আবুল খায়ের ঢালী ও ৪। মোঃ রায়হান হোসেন (১৫), পিতা- মৃত ইদ্রিস হোসেনদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের উপরোক্ত নাম প্রকাশ করে এবং অকপটে স্বীকার করে যে, তারা বর্ণিত স্থানে সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নিমিত্তে একত্রিত হয়েছিল। এছাড়াও আটককৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে তাদের নিকট হতে ধারালো ০২টি স্টীলের চাকু এবং ০১টি ধারালো ছোরা উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

“নুরু গ্যাং” কিশোর গ্যাং নামক এই গ্রুপটি সাধারণত ফেনী শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে রাস্তায় সংঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এই গ্যাং এর সদস্যরা ফেনী জেলা শহরের রেল স্টেশন, বাসস্টান্ডসহ বিভিন্ন গলি ও রোডে ছিনতাই, চাঁদাবাজী, নিজেদের মধ্যে মারামারি, অন্য সাধারণ কিশোরদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন এবং মাদক সেবন করে বলে জানা যায়। তারা সাধারণ মানুষসহ প্রাত্যহিক চলাচলরত বিভিন্ন শেণী পেশার মানুষদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়েছিল বলে অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।