রবিবার,১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্বদেশ পুনঃগঠনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা->বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নজিরবিহীন বর্বরতার সাক্ষী। বাংলাদেশের জনগণের উপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অসংখ্য নারীর উপর পাশবিকতাই শুধু নয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমার পূর্ব পাকিস্তানের রাস্তাঘাট কলকারখানা, আবাদি জমির ফসল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা বোমা মেরে ও আগুন জ্বালিয়ে থাকালে ১৪ই ডিসেম্বর পরিকল্পিত কায়দায় নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। স্বাধীন হলেও একটি জাতি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য যা যা করা দরকার সবই করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর কুলাঙ্গার রাজাকার ও আলবদর বাহিনী যুদ্ধ এক ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠন এর কাজ ছিল খুবই একটি দুরূহ ব্যাপার।

আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্রসমাজ, কর্মী বাহিনী তোমাদের মোবারকবাদ জানাই। তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা র দিয়েছো, রক্ত কথা যাবে না, রক্ত যায় নাই।” স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ভবিষ্যৎ ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভাইয়েরা আমার, যথেষ্ট কাজ পড়ে রয়েছে। যেখানে ধ্বংস করে দিয়েছিল। জা ভেঙে গিয়েছে নিজেরাই রাজা করতে শুরু করে নাও, জমিতে ধান বুনাও। সব কর্মচারীদের বলে দিতে চাই একজনও ঘুস খাবেন না। মনে রাখবেন তখন সুযোগ ছিল না। আমি দোষ ক্ষমা করবো না।”

শিল্প-

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে পথে যাত্রাদিরতিতে লন্ডন ও দিল্লী হয়ে প্রিয় স্বদেশে ফিরেন তিনি। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সকাল থেকেই তেজগাঁও বিমানবন্দরের রাস্তার দু’পাশে সরি মানুষ বাानীর মন নেতা আসছেন। লাখো মানুষের ভিড় রাজপড়ে। কণ্ঠে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। বঙ্গবন্ধু এলেন। যে দেশ এবং যে স্বাধীনতার জন্য জীবনবাজি রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই মাটিতে পা দিয়েই আবেগে কেঁদে ফেলেন। বিমানবন্দরে অস্থায়ী সরকারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সবাই অশ্রুসজল নয়নে বরণ করেন ইতিহাসের এই বরপুরকে। রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কাঠামোর অরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেন। দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু নিজেকে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।

বাংলাদেশের বিজয়ী জনগণের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন। তিনি কাউকে অবাঙালিদের ওপর হাত না তুলতে সতর্ক করেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানে আটকা পড়া চার লাখ বাঙালি নিরাপত্তার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাধারণ পাকিস্তানিদের প্রতি তার কোনো বিদ্বেষ নেই, সেটা যেমন নিশ্চিত করেছেন, তেমনি পরিষ্কার করে বলেছেন, অন্যায়ভাবে বাঙালিদের যারা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বক্তৃতায় যুদ্ধবিষণ্ড স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সবার সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমি আশা করি, দুনিয়ার সব রাষ্ট্রের কাছে আমার আবেদন, আমার রাস্তা নাই, ঘাট নাই, আমার জনগণের মানার নাই, আমার মানুষ হার সর্বহারা, আমার মানুষ পথের ভিনারী, তোমরা আমার মানুষকে সাহায্য করো। মানবতার খাতিরে আমি তোমাদের কাছে সাহায্য চাই। দুনিয়ার সম রাষ্ট্রের কাছে আমি সাহায্য চাই। আমার বাংলাদেশকে তোমরা রিকোগনাইজ করো, জাতিসংঘে স্থান দাও। দিতে হবে উপায় নাই। দিতে হবে। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুদ্ধবিধান্ত স্বাধীন বাংলাদেশকে সম্মিলিত উদ্যোগে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতা । ধন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে রেসকোর্সের সেই ভাষণে আবেগ আপ্লুত বঙ্গবন্ধু বলেন, “আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম, ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই,

বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের সময় গোটা বাংলাদেশ ছিল এক যুদ্ধবিধস্ত ভূত বাংলাদেশের গুলামে খাদ্য নেই, মাঠে ফসল নেই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ শুনা, সড়ক ও রেলপথ বিচ্ছিন্ন, নৌ ও সমুদ্রবন্দরগুলো বিধ্বস্ত, স্কুল-কলেজগুলো ছিল পরিত্যক্ত সেনাছাউনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসর রাজাকার-আল বদর-আল শামস ও পিস কমিটির সদস্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসে সারা বাংলাদেশের বসতবাড়ি, গ্রাম্য হাট-বাজার, অফিস – ডন, হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল ও মাদ্রাসা, কলেজ ভবন পুড়িয়ে দেয়, রেল সেতু মাংসপ্রাপ্ত হয়, দেশের টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে . চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর দুটিতে মাইন পোতার ফলে অকার্যকর হয়ে পড়ে। তারা বিভিন্ন খাদ্য গুদামে মজুদ খাদ্যশস্য, শসানীত, সার ও কীটনাশক ধ্বংস করে এবং দেশের বিমান বন্দরসমূহের রানওয়ের ক্ষতি সাধিত হয়য়। জাহাজ ডুবিয়ে বন্দরের প্রবেশপথ অচল করে দেয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌ বাহিনীর কমান্ডোরা চট্টগ্রাম বন্দরের পরিষ্কার পরিক্ষরতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিপুল পরিমাণ জাহাজ সমুদ্রের তলদেশ থেকে পরিষ্কার করে জাহাজ চলার উপযুক্ত করে তুলে এই কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে রাশিয়ার সৈনিকও মৃতুবরণ করেন। যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ এবং ভয়াবহতা এখানে বলে শেষ করা যাবে না।

১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি সংসদীয় সরকার কাঠামোর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর প্রতীক পদক প্রদান করেন। অধীনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে বঙ্গবন্ধু সেই রাষ্ট্রপতির অধীনেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শব্দ নেন। এর আগে স্বাধীন দেশে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব লাভ করেন এবং এর মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন, সংবিধান প্রণয়ন, ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করা: স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভ করা: সহ সকল তিক সংস্থার সদস্যপদ অনি করা: ৭১’র ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের আটক করে বিচারের সম্মুখীন করা। পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রায় সোয়া লক্ষ ভারতীয় আসীন। সেন্যকে ভারতে ফেরত পাঠানো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক শ্রেণি বিনামুল্যে এবং মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত নামমাত্র মূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহঃ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন: শিল্প লেখক কলকারখানা, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অন্যান্য অর্থ সং প্রতিষ্ঠানগুলো সচল করে তোলা। দুঃস্থ মহিলাদের কল্যানের জন্য নারী পুনর্বাসন সংস্থা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কলা ট্রাস্ট গঠন সহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক যুগান্তরকারী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে উপরোক্ত বৈপ্লবিক ও কল্যাণমুখী পদক্ষেপগুলো ছাড়াও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন য স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তিকে মজবুত করাসহ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের আলোকিত ধারায় পরিচালিত করবে। মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য গৃহনির্মাণের কাজে তিনি হাত নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তার দেশের একজন মানুষ ও যাতে গৃহহীন না থাকে। তাই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন গৃহনির্মাণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনে মনোযোগ দেন। বহিঃবিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ স্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধুর পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ সমাপ্ত করেন। সরকার গঠনের ৩ দিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু এক সরকারি আদেশের মাধ্যমে দেশে মদ, জুয়া, হাউজ ও ঘোড়-লোড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি একই সাথে ঢাকা রেসকোর্স ন্যাদানকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। ইসলাম ধর্মের যথাযথ খেদমতের অভিপ্রায়ে ও ইসলাম সম্পর্কে গবেষণার লক্ষে বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য এক অধ্যাদেশ জারি করেন। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মচর্চার ক্ষেত্রেও তিনি गान গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭২ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে দেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। দুস্থ মহিলাদের কল্যাণের জন্য ১৯৭২ সালে র ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে এই বোর্ডের কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করে নারী পুনর্বাসন ও কপাল ফাউন্ডেশন’ সৃষ্টি করেন। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তিনি গঠন করেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা অস্ত্র সরকারের কাছে সমর্পণের জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৩১শে জানুয়ারি তার বেঁধে দেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাই অস্ত্র সমর্থন করেন। ১৯৭৩ সালের ১৫ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রায় বিশেষ খেতাব প্রদানের তালিকা সরকারি গেজেট বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বীর শ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীর উত্ত ১৭৫জন মুক্তিযোদ্ধাকে বীর বিক্রম এ

এভাবেই স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী বাংলা পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জাতির পিতা একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অন্য সম্ভাব্য সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিলেন। তাঁর সততা, দেশপ্রেম, আদর্শ ও স্বাধীন সত্ত্বা নিবিড়ভাবে প্রোথিত বাঙালির হৃদয়ের গহীনে যা তাঁকে চির অমরত্ব দান করেছে। জাতির জনকের হাতের স্পর্শে গড়ে ওঠা এ দেশের একেকটি প্রতিষ্ঠান ও তাঁর পরিকল্প আজও সাক্ষ্য দিচ্ছে- স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা শেষ মুজিব বেঁচে আছেন বাঙালির চিন্তা ও সত্ত্বায়। দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে হিমালয়সম এই নেতার মুগ্ধতারা আবিষ্ট হচ্ছে বিশ্ব শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় এই নেতা আজ বিশ্বে অনন্য উচ্চতায়

তিনি অবিনশ্বর এক আদর্শ ও প্রেরণার নাম। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের বিজয়ের প্রতীক হয়ে থাকবেন। যত দিন বাংলাদেশের বাংলাদেশের মানচিত্র থাকবে।

প্রাবন্ধিক, সাবেক কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ- সভাপতি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, সভাপতি, চট্টগ্রান প্রাতিষ্ঠানিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি লিঃ। সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email