রবিবার,১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সমাজ হিতৈষী ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়া

সমাজ হিতৈষী ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়া

ইতিহাস ঐতিহ্য ক্রীড়া সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে নিরলস অনুধ্যানে ও প্রচার প্রসারে নীরবে কাজ করে চলেছেন- তেমনই একজন ব্যক্তিত্ব ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়া। চিত্ত ও বিত্তের মিশেলে উদারতায় পূর্ণ আত্মত্যাগে সমাজ সদ্ধর্মের কল্যান সাধিত হয়।ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়ার বিত্তের বৈভব না থাকলেও মনের ঔদার্যতা ও আত্মত্যাগে সমাজ সদ্ধর্মের উন্নয়নে অশেষ অবদান রেখে চলেছেন। ব্যক্তিজীবনে ভদ্র মার্জিত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক দুলাল কান্তি বড়ুয়া পেশাগত দায়িত্ব (অবসর)শেষে সেবা ও ইতিহাস ঐতিহ্যের সন্ধানে ভূমিকা পালনকে ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। তিনি নিজ গ্রাম কধুরখীল মার্জিন বিহার পরিচালনা কমিটিতে ৩৪ বৎসর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন ও নান্দনিক বিহার নির্মানে ভূমিকা পালন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব বোয়ালখালী শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কেন্দ্রীয় এর নির্বাহী সদস্য(সাবেক দপ্তর সচিব), বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদ এর সভাপতি, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র ‘র উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি, বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চ’র চেয়ারম্যান, পল্লী বন্ধু কর্মজীবী কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান, কিরাত বাংলা (লিটল ম্যাগাজিন)এর প্রধান সম্পাদক, দৈনিক শুভেচ্ছা প্রতিদিন এর উপদেষ্টা সম্পাদক, পরিস্থিতি ২৪ এর প্রধান উপদেষ্টা, প্রান্তিক ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট এর সম্মানিত ট্রাষ্টি, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ট্রাষ্ট এর ট্রাষ্টি, সহ অসংখ্য প্রগতিশীল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে নিয়োজিত। সমাজ সদ্ধর্মের সুকর্মের ফলশ্রুতিতে স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশ -বিদেশের বিভিন্ন গ্রাম সমাজ সংগঠন হতে ৭০ এর বেশী স্মারক সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন। জীবন কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২১ সালে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র ” সোনার মানুষ ” অভিধায় ভূষিত করেন।বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চ, ভারত শাখা ২০২২সালে ” ড,আম্বেদকর এ্যাওয়ার্ড ” এ ভূষিত করেন। যা অভূতপূর্ব অর্জন নিঃসন্দেহে। তিনি মানবতার সেবায় নিবেদিত বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগং কর্ণফুলী এর ট্রেজারার। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্ম জাগরণের রেনেসাঁ পুরুষ ” সারমেধ মহাস্থবির মানুষ ও মনীষী ” নামক একটি প্রবন্ধ লিখেন। যা বৌদ্ধ ইতিহাসের অমূল্য সংযোজন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী বিদৌত অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল গ্রামে রণধীর বড়ুয়া ও বিদর্শন সাদিকা রানু প্রভা বড়ুয়ার কোল আলো করে ১৯৬১ সালের ২৪শে জুন দুলাল কান্তি বড়ুয়ার জন্ম। ৩ ভাই দুলাল,বিমল,নির্মল,ও মিরা,ইরা,ইন্দিরা,জয়ন্তী বড়ুয়ার সংসারে কৈশোরে ১৪ জুন ১৯৭৪ সালে পিতৃবিয়োগ ঘটলে, জীবন জীবিকার কষাঘাতে জর্জরিত দুলাল কান্তি বড়ুয়া ১৯৭৭সালে এস এস সি পাশ করে ভাগ্যান্বষনে বেরিয়ে পড়েন।জ্ঞান অর্জন ও লেখালেখির প্রতি অদম্য স্পৃহা ও অধ্যাবসায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও পেশাগত ব্যাংকিং ডিপ্লোমা অর্জন করেন।১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে কর্মযাত্রা শুরু করে বিভিন্ন দপ্তর ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৯ সালে অবসর গ্রহন করেন। কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৬ সালে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপক,চট্টগ্রাম বিভাগের ৩য় শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থাপক নির্বাচিত হন। পারিবারিক জীবনে দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সহধর্মিণী পাপড়ী বড়ুয়া (এম এ)নাসিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষিকা ও পুত্র প্রকৌশলী সুদীপ্ত শুভ্র বড়ুয়া ইংল্যান্ডের পোর্টস মাউথ ইউনিভার্সিটি হতে কৃতিত্বের সাথে এমএসসি ইন্জিনিয়ারিং সমাপ্ত করেন,কন্যা সুস্মিতা বড়ুয়া মৌরী (এমবিএ), ও কলেজে অধ্যয়নরতা প্রজ্ঞা পারমিতা বড়ুয়াকে নিয়ে সুখী সুন্দর জীবন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email