শুক্রবার,১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও সহযোগিতার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে : এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-  ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে প্রস্ততি গ্রহণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা সন্দীপ, সীতাকুন্ডু মীরসরাই, কর্ণফুলী, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিনিয়ত মাইকিং কার্যক্রম এবং আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা প্রদান করছে। মোখা মোকাবেলার লক্ষ্যে পরিচালিত কার্যক্রম সমূহের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের তত্ত্বাবধানে যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের বাস্তবায়নে আজ ১৪ মে সীতাকুন্ডু উপজেলার কুমিরাঘাটে সীতাকু- উপজেলায় কার্যক্রমে নিয়োজিত যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।ঘূর্ণিঝড় কালীন উদ্ধার ও মোকাবেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) সাংসদ মোঃ দিদারুল আলম এমপি, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দিদারুল আলম, জেলা ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদ সদস্য মোঃ ইসমাইল হক চৌধুরী ফয়সাল, হাসপাতালের ইনচার্জ মোঃ সেলিম আহমেদ, জেলা ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুল মান্নান,যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রাম এর যুব প্রধান ইস্তাকুল ইসলাম চৌধুরী ইশান সহ সংশ্লিষ্টরা।চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করার জন্য প্রথম প্রস্তুতি হলো মনোবল। আমরা ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি দেখতে আসছি, প্রতিটি উপজেলায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি উপজেলা রেড ভল্টিয়ার ও সিপিপি ভল্টিয়ারদের সাথে। আমরা প্রথমত যে কাজটি করেছি সেটা হলো সমন্বয়। প্রত্যেকটি উপকূলীয় এলাকায় রেড ক্রিসেন্ট সেচ্ছাসেবক ও সি সি পি সেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সেচ্ছাসেবকদের আগে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিম্নআয়ের মানুষের সহযোগিতা করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করার লক্ষ্যে সব সময় সমন্বয় করছে আমাদের উপজেলা ভিত্তিক টিম গুলো। যদি ঘূর্ণিঝড়দিক পরিবর্তন করে তাহলে আমাদের চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে তাই আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও সহযোগিতার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে ।চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) সাংসদ মোঃ দিদারুল আলম এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি। সীতাকু- উপজেলায় প্রায় ৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে রেড ক্রিসেন্টের ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা।

ঘূর্ণিঝড়ে জরুরী বিষয়ে ও তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে ০১৮১৫-৩৩২৩১৬ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email