শুক্রবার,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে বিএলএফ-এর ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে বিএলএফ-এর ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-

সিয়াম সাধনার সবচেয়ে গূরুত্বপূর্ন সময় এই রমজান মাস।এই রমজান মাসে মহান আল্লাহের রহমত এর আশায় ইসলাম ধর্মাবলম্ভীরা সিয়াম সাধনায় মক্ত সব সময়।
বাংলাদেশ লেভার ফেডারেশন(বিএলএফ)এর উদ্যেগে আজ (১০ এপ্রিল) ৫ ঘঠিকায় সোমবার আগ্রাবাদস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি রবিউল হক শিমুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দা আজিজুর নাহার

উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন,তৌহিদুল আলম ভূইয়াঁ সহ-সভাপতি,কেন্দ্রিয় কমিটি,বিএলএফ,তৌহিদুল আলম সভাপতি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি,চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃমাইন উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম জেলা কমিটি,জেলা কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোচ্ছাম্মৎ গোলজার বেগম,বিভাগীয় যুব কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাঃ সম্পাদক আব্দুল ছোবান সুমন,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিভাগীয় যুব কমিটি, জয়নাল আবেদীন প্রচার সম্পাদক জেলা কমিটি প্রমূখ।

বক্তব্যে,  বিএলএফ চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার বিল উত্থাপনকে শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়ার পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সংবিধান, আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান সবখানেই শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকারের স্বীকৃতি আছে। প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া। অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের নামে এমন কোন খাত নেই যা অন্তর্ভুক্ত হবে না। ফলে ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবী আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। এই বিল আইনে পরিণত হলে তা মালিকদের সুরক্ষা এবং শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি প্রদানের হাতিয়ারে পরিণত হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, জরুরী সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়ার আগে শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন নিষিদ্ধ করা দরকার। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে যখন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেখানে প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার উদ্যোগ খুবই দুঃখজনক।নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহারের দাবী জানান ।

নিম্মোক্ত দাবী সমূহ উপস্থিত শ্রমিক নেতারা বক্তব্যে উত্থাপন করেণঃ-

★২০ রমজানের মধ্যে হোটেল শ্রমিক সহ সকল শ্রমজীবীদের বেতন বোনাস দিতে সংশিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
★ গার্মেন্টস শ্রমিকদের নুন্যতম ২৩০০০টাকা করতে বিজিএমমির প্রতি আহবান।
★  বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারীদের মাইলেজ সহ ন্যায্য দাবি গুলো বাস্তবায়ন করতে রেলওয়ে কতৃপক্ষের প্রতি দাবী।
★বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যদির সথে সামঞ্জস্য রেখে মজুরী নির্ধারণ করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email