শুক্রবার,১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টুম্পা হত্যার প্রধান আসামী ইব্রাহিম হাওলাদার গ্রেফতার

টুম্পা হত্যার প্রধান আসামী ইব্রাহিম হাওলাদার গ্রেফতার

সিএমপি’র ডিবি (বন্দর-পশ্চিম) কর্তৃক ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত ও প্রধান আসামী গ্রেফতার

নগরীর বন্দর থানাধীন কলসিদিঘীর পাড় ওয়াসিম চৌধুরী পাড়া পেলাগাজীর বাড়ী আলী সওদাগরের বিল্ডিং এর নীচ তলার তালাবন্ধ ৩নং রুমের ভিতরে মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় গত ২৬/০৩/২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধারের ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পরপরই ছায়াতদন্ত শুরু করে ডিবি (বন্দর-পশ্চিম) টিম। বাড়ীর মালিকের নিকট ভাড়াটিয়ার তথ্য না থাকায় এবং পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াগণ ভিকটিমের তথ্য দিতে না পারায় তাৎক্ষনিকভাবে লাশের নাম-পরিচয় সনাক্ত করা যায় নি। ডিবি টিম কর্তৃক ছায়াতদন্তে ভিকটিম একজন গার্মেন্টস কর্মী বলে জানা গেলেও গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের সু-নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নি। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী এক দোকানের ক্যাশমেমোতে পাওয়া একটা মোবাইল নম্বর থেকে খুনের ঘটনার রহস্যের জট খুলতে শুরু করে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা দেখা যায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি চট্টগ্রাম হতে বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। পরবর্তীতে এরই ভিত্তিতে চট্টগ্রাম হতে বাগেরহাটগামী রয়েল পরিবহনের বাসের যাত্রী সন্দিগ্ধ ব্যক্তি আসামী ইব্রাহিম হাওলাদার (২৪)’কে ঢাকার পোস্তগোলা ব্রীজের উপর হতে আটক করা হয়। উক্ত আসামী’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ভিকটিম টুম্পা আক্তার (২২)’কে হত্যার বিষয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ধৃত আসামী’কে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিমের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতঃ বিস্তারিত নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়। ভিকটিমের নাম টুম্পা আক্তার (২২), পিতা- লিয়াকত আলী, মাতা- মৃত মনোয়ারা বেগম, সাং- কালামুরিয়া, বেপারী বাড়ী, পোষ্ট-কুটি, থানা- কসবা, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া, বর্তমানে কলসীদিঘী রোড, ওয়াসিম চৌধুরী পাড়া, পেলাগাজীর বাড়ী, আলী সওদাগরের বিল্ডিং এর নীচ তলা, ৩নং রুম, থানা- বন্দর, জেলা- চট্টগ্রাম। ভিকটিমের পূর্বের সংসারের অনুমান ০৪ বছর বয়সী মাহিম নামের একজন ছেলে সন্তান রয়েছে। ভিকটিম গত অনুমান দুই বছর যাবৎ প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড সিইপিজেড চট্টগ্রামে কর্মরত থাকার সুবাদে কলসীদিঘী এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিল। ঘটনাস্থলের বাসায় ভিকটিম ও আসামী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করে আসছিল।  ভিকটিম ও আসামী বিবাহ বর্হিভূত ভাবে একই সাথে বসবাস করায় তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এরই জেরে ঘটনার রাতে অর্থাৎ গত ২৬/০৩/২০২৫ খ্রিঃ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকায় আসামী পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম’কে ঘুমন্ত অবস্থায় কৌশলে গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতঃ বাসা বাহির থেকে তালাবন্ধ করে ভিকটিমের ছেলে’কে পার্শ্ববর্তী একটি বাসার সামনে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এই সংক্রান্তে সিএমপি’র বন্দর থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email