সোমবার,২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

“ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিকল্প নেই “—ড. মুহাম্মদ ইউনুচ

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনীতি-অর্থনীতির পাশাপাশি কূটনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জও সামনে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি। এ নিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের (ডিডাব্লিউ) সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ডয়চে ভেলেকে ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া ঢাকার কোনো বিকল্প নেই। নিজেদের প্রয়োজনেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্বোত্তম সম্পর্ক থাকতে হবে।ডিডাব্লিউর সঙ্গে আলাপকালে পানিবণ্টন এবং আন্ত সীমান্ত চলাচলের মতো অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন ড. ইউনূস। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য তার প্রশাসন নয়াদিল্লির সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে এর সমাধান করব।’ড. ইউনূস বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে গেছেন। এ কারণে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।

কোথা থেকে শুরু করবেন সেটি নির্ধারণ করাই কঠিন, কারণ সব কিছু নতুনভাবে শুরু করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা (অন্তর্বর্তী সরকার) নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং সুশাসনের সঙ্গে যা কিছু যায়, তার সব কিছু প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’সংবিধান সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের প্রধান বিষয়গুলোর ওপর নজর দেওয়া এবং একটি ঐকমত্য তৈরি করা উচিত। আমরা ঐকমত্য ছাড়া কিছু করতে পারি না, কারণ এটিই আমাদের শক্তি।’ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে এখনো তার অবস্থান সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেয়নি ভারত।

যদিও তিনি একটি ‘নিরাপদ জায়গায়’ রয়েছেন বলে ধরাণা করা হচ্ছে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এরমধ্যেই শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেছে। এদিকে তাকে দেশে ফিরিয়ে (প্রত্যর্পণ) এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জোরালো হচ্ছে।

তবে সাবেক কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদরা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ঢাকা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করতে পারে নয়াদিল্লি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email