
“সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে” জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল
সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। চিটাগাং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটিতে সরকারি আইনি সহায়তা বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল
* স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৯ ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার আর্থিক ভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিদ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তীতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং জেলা পর্যায়ে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস চালু করেন। তৃণমূল পর্যায়ে অসচ্ছল দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা একটা বিরাট চ্যালেন্স। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রাম কাজ করছে। “বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপসও হয়” বর্তমান সরকার মামলাজট নিরসনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির উপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছে। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান (আইনি পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) বিধিমালা, ২০১৫ প্রণয়ন করে লিগ্যাল এইড অফিসারকে বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ ও বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে ও খরচে সহজে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের উপকার ভোগ করছে অন্যদিকে বাংলাদেশের আদালতসমূহে মামলা জট হ্রাস পাচ্ছো।
“কারাগারে আটক ব্যক্তি মিথ্যা মামলার, সরকার দেয় আইনজীবী মামলা চালাবার”
মানবাধিকার, সামাজিক উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশের ৬৪ জেলায় ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে লিগ্যাল এইড অফিস এবং অসহায় শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে শ্রমিক আইন সহায়তা সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক, এমপি সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এর সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সকল পর্যায়ে আইনি সহায়তা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকার সুপ্রীম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটি, ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি, চৌকি আদালত বিশেষ কমিটি এবং শ্রম আদালত বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। নানাবিধ আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা কিংবা দারিদ্রতা বা অপ্রাচুর্যের কারণে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ন্যায় বিচারে প্রবেশাধিকার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্য দেশের আপামর জনসাধারণের আইনি অধিকার নিশ্চিত। করার সাথে সাথে তাদেরকে সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করা আজকের সভার অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য। স্কুল অফ ল, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী ডিন প্রফেসর নাজনীন আক্তারের সভাপত্বি অনুষ্ঠিত সরকারি আইনি সহায়তা বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এসব কথা বলেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) জনাব মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিরস্কুল অফ ল, লেকচারার আদনান কবির।
নিউজটি পড়েছেন : ২৩৩