অত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক গত জানুয়ারী,ফেব্রুয়ারী বকেয়া বেতন এবং মার্চ রানিং ও ঈদ বোনাস না দিয়ে গত ২০ তারিখে কারখানার সকল রেডিমেড পোশাক বের করে কারখানা তালা মেরে পালিয়ে যায়।
এমতবস্থায় শ্রমিকরা ৫ দিন আন্দোলন করে “না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শ্রমিকদের মধ্যে আজকে ৫ জন শ্রমিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বাকি শ্রমিকদেরকে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ ও অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেত্রীত্বে বাকিদের খাবারের ব্যবস্থা করলেও বেতন বোনাস পাওয়ার জন্য প্রশাসন,বিজিএমইএ এবং কেউ কোন সাড়া দিচ্ছে না বলে জানা যায়। মালিকদের এমন আচরণ এটা নতুন না প্রতি বছরই তাঁরা ঈদের আগে কোন না কোন কারখানার শ্রমিকদের এভাবে যুদ্ধ করে রাজপথে আসতে হয় মজুরীর জন্য ৷ আর কিছু ঝুট ব্যবসায়ী,স্থানীয় মস্তান,বিল্ডিং মালিকের বাহিনী দিয়ে শ্রমিক নির্যাতন করে।
প্রতিমন্ত্রী নির্দেশনায়,শ্রমিক ছাঁটায় তো দুরের কথা সকলের বেতন বোনাস সঠিক সময়ে পরিশোধ করার কথা থাকলেও এই কারখানার এমন অবস্থা কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? বিএলএফ সহ অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে গাজীপুর ডিসি,ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ,মেট্রো পুলিশ, সরকারী সকল দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরী আদায় এর জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন ৷ বেতন ও ঈদ বোনাস যথাসময়ে আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে লিপ্ত হবে বলে জানা যায়। উক্ত ঘটনায় বাংলাদশে লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা শাকিল আখতার চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পদক সৈয়দ রবিউল হক শিমুল এক বিবৃতিতে বলেন “এই রকম গার্মেন্টস মালিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন”। সাথে সাথে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “গোল্ডেন ড্রিম ফ্যাশন্স লিঃ, এর মালিককে আইনের আওতায় এনে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করতে। অন্যথায় বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন-বিএলএফ সহ সকল শ্রেনি পেশার শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার ও বিজিএমইকে বাদ্য করা হবে”।
