
সমাজে
নারীর ভূমিকা ও মর্যাদা
অধ্যাপক অপর্ণা বিশ্বাস
সমাজে নারীর ভূমিকা কি? এ প্রশ্নটা আলোচিত হয়েছে দেশেদেশে, যুগে যুগে এ প্রশ্নের সহজ উওর কোথাও কখনো মেলেনি, যে সব প্রশ্নের সঙ্গে সামাজিক সমস্যার সম্পর্ক, সে সব প্রশ্নের সহজে উত্তর মেলে না।
স্মরণাপন্ন হই আমাদের জাতীয় বিদ্রোহী প্রয়াত প্রাতঃস্মরণীয় শ্রদ্ধেয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের, ” এ বিশ্বে যা কিছু চির সৃষ্টি, কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” নারী শক্তি জাগ্রত হলেই এ সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেয়েরা কন্যারূপে পিতা, পত্নীরূপে পতি এবং মাতারূপে পুত্রের উপর নির্ভরশীল। এতো বেশী নির্ভরশীল হওয়ার জন্যে তাদেঁর উপর সামাজিক নির্যাতন ও কিছু কম হচ্ছে না। কোথাও কোথাও তারা অস্থাবর সম্পত্তির মতো গণ্য হচ্ছেন।
এ যুগের নারীরা মন্ত্রী হচ্ছেন, রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদিচ্ছেন, উত্তুঙ্গ পর্বতশীর্ষে অভিযান চালাচ্ছেন, Sky Diving নিচ্ছেন, ডিঙ্গি নৌকায় সমুদ্রে ভেসে বেড়াচ্ছেন, ফুটবল খেলছেন, ক্রিকেট খেলছেন, টেনিস, বেডমিন্টন প্রভৃতি অনেক খেলাতেই যোগদান করছেন।আমাদের দেশের কলসিন্ধুর সানজিদা, রাঙামাটির অনন্যা এবং অন্যান্য সোনার মেয়েরা আমাদের দেশের মুখোজ্জ্বল করে চলেছেন অবিরত ফুটবলখেলায়, বড় বড় ব্যবসার ক্ষেত্রেও নারীরা অনুপস্থিত নন, বড় বড় সরকারী-বেসরকারী চাকুরীতে, এমনকি আইন ব্যবসায়ও তারা আছেন,চিকিৎসা, প্রকৌশলবিদ্যা, উচ্চশিক্ষার পীঠস্থানে তারা পাঠদান করে ছাত্র-ছাত্রীদের সৌভাগ্যের পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছেন। এতসব করেও তারা গৃহকোণের মায়া কাটতে পেরেছেন? সম্ভবত পারেননি?
Costly অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক সুপারসনিক যুগে Androidmobile, iphone এর চক্করে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছেন teenager boysa nd girls এবং adult নরনারী। দিনরাতের বেশীর ভাগ সময় ডুবেআছে mobile এর বিভিন্ন device এ কাঙ্খিত তথ্য জানার অনাবিলআনন্দে। । এতে করে কোমল মতি পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিবাহিতা মেয়ে এবং বিবাহিত পুরুষদের সাংসারিক কাজ থেকে মন সরে যাচ্ছে, It is not the fault of the mobile invention,rather it is the ill, raw, immature mentality of the users.only। এতে করে নারীরা গৃহস্থালী প্রয়োজনীয় টুকিটাকি কাজ সম্পন্ন করা থেকে সরে আসছেন, মনমানসিকতা কেমন জানি হয়ে যাচ্ছে স্নেহ, ভালবাসার ঘাটতি দেখা যাছে। এমনকি অবোধ, নিষ্পাপ আত্মজ- আত্মজদের প্রতি যত্নআওিতে কেমন জানি উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে স্বামীর প্রতি কর্তব্যে কেমন জানি একটু হাত -পা ছাড়া ভাব পরিলক্ষিত
হচ্ছে।

শুধু আরো চাই, আরো চাই এর পথে এগুচ্ছে।অতিরিজ সৌভাগ্য, অর্থ যশ এর পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্তঃ হয়েপড়েছেন নারীরা
নারীকে প্রশংসা করে এক কবি গেয়েছেন
“ওগো নারী, শ্রেষ্ট সৃষ্টি তুমি অবনীর”
গোলাপে গঠিত যেন ভে৩র বাহির
সাঝে সাঝে সবিস্ময়ে তাই মনে হয়
তুমি তো গোলাগ ছাড়া, অন্য কিছু নও”
“ফুল, শিশু ও নারী এ পৃথিবীর স্বগীয় সম্পদ;
“নারী যেখানে সম্মানিতা সেখানে ঈশরের উপস্থিতি”
“একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, পবিএ,তীব্র মনোবলের অধিকারিণী নারী একদল উশৃংখল সৈনদলকে সমাল দিয়ে বুঝিয়ে নিজের সমান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।
নারীরা হচ্ছে মায়ের জাত,সহনশীলতা, ধৈর্যশক্তি,কর্তব্যনিষ্ঠা, সাহস তাদের সব বাধা উত্তীর্ণ হতে সহায়তা করে নারীদের সম্পর্কে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে”” রাজা করিছে রাজ্যশাসন রাজারে শাসিদে রাণী” নারী হচ্ছে প্রকৃতি,পুরো জগৎ-সংসার , সন্তান, স্বমী, আত্মীয়স্বজনকে সঠিকভাবে সুন্দরভাবে পরিচালিত করার গূঢ় দায়িত্ব নারীর।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হছে, আমাদের সমাজ এখোনো পুরষশাসিত।মেয়েদের ভূমিকা এখানে অ প্রতুল, কিন্তুু Indian এর seven sisters অঞ্চলে, মেঘালয়, আসাম,ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচলপ্রদেশ,সমাজ কিন্তুু মাতৃশাষিত। সে যা হোক, আমাদের সমাজে নারীদের যথার্থ মর্যাদা দিতে হবে, তাদের প্রত্যেকটা কর্মকান্ডকে উৎসাহিত করতে হবে। এতে করে এরা ঘরের প্রতি সমতার টান অনুভব করবে বেশী। নারীদের আত্বরক্ষার জন্যে Kung Fu Fighting এ উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
আমাদের দেশের বড় বড় শহরে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও Kungfu Fighting Training দেয়া হয়। অনেক মেয়ে বাংলাদেশ Black belt holders . yotube, google এ yoga Exercise and General Exerelice শেখানো হয়, নারীরা এগুলো দেখে practice করতে পারে।স্বরণাপন্ন হই বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের-
নারীকে আপনভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি
দিলে অধিকার হে বিধাতা
নত করি মাথা পথ প্রান্তে কেন যে জাগি,
ক্লান্ত ধৈর্য ধরে তার সাধ-পূরেণর লাগি
দৈবাগত দিনে,
শুধু শূন্যে চেয়ে রব কেন
নিজে নাহি লব চিনে সার্থকের পথ”
কাজেই সমাজে নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি মানসে পুরুষদের আন্তরিক মনোভাব এ সহনশীলতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নারীর মর্যাদা পেয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের সমাজসমৃদ্ধ তথা দেশ সমৃদ্ব হবে এবং এগিয়ে যাবে উওরোওর সমৃদ্বির পথে।