
স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা
শিক্ষক মিলন কান্তি বড়ুয়া
লাল সবুজের সোনার বাংলার জাতীয় পতাকা,
দৃপ্ত চেতনায় স্বাধীন সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখা।
চির সবুজ রূপে অপরূপ মায়াবী সাঁজের প্রকৃতি,
তারুণ্য, উদ্যম সজীবতা, আর আনন্দের স্মৃতি।
তারি মাঝখানে পূর্ব গগনে ভোরের সূর্য উদয়মান,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত সারা উদ্ধ্যান।
লালে লাল রঙিন বিপ্লবের চিহ্ন বীরত্বের প্রখরতা,
দৈর্ঘ্য প্রস্থের পরিমাপ পাঁচ তিন অনুপাতে আঁকা।
এক-পঞ্চমাংশ দৈর্ঘ্যের রক্ত লাল ব্যাসার্ধ জুড়ে,
সবুজ প্রান্তর অপূর্ব লীলা নিকেতন কাঁচে দূরে।
সংগ্রামে লাল বৃত্তে ছিলো, সোনালি রঙে মানচিত্র,
পরিবর্তন আনেন তা, রক্ত লাল আর সূর্য্যের মিত্র।
রাষ্ট্রীয় ভবন, অফিস, আদালত যত কায্যালয়,
পতাকার গর্বে অনন্য শোভা জাতীয় পরিচয়।
শহীদদিবস, শোকদিবস আর ঘোষিত প্রজ্ঞাপণে,
অর্ধনমিত থাকবে পতাকা তাঁদের’ই সম্মানে।
রাষ্ট্র পরিচালনা করা প্রশাসনের গুরু দায়িত্ব,
জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব।
মন্ত্রী মর্যদা আর উচ্চপদস্থ সম্মানের আসনে,
পতাকা বহনের শোভা পাবে স্বীকৃত সংবিধানে।
মুক্ত বাতাসে,মুক্ত মনে পত পত উড়ে নিরবতায়,
ঐক্য, শান্তি, প্রগতির বাণী উজ্জীবিত সজীবতায়।
স্বাধীনতার, পূর্ণতা ও সম্ভাবনা হিতকর বাণী,
সাম্য, মৈত্রীর লক্ষ্য আদর্শ অটল নতশিরে মানী।
প্রকৃতির দান, বাঙালি মনে প্রাণে শ্রদ্ধায় স্মরি।
লাল সবুজের খ্যাতি এখন সমগ্র বিশ্ব জুড়ি।
“
নিউজটি পড়েছেন : ২৯২