শনিবার,১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে জয়ের ধারা বহাল রাখল অস্ট্রেলিয়া

Image not found
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ২৭ বল বাকি থাকতেই ৩০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। 
৩৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার মতো পাকিস্তানের ওপেনাররাও দুর্দান্ত শুরু করেন। ১৩৪ রানের মাথায় শফিককে (৬৪) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টোয়নিস। দলের সঙ্গে আর ২০ রান যোগ হতে ফেরেন ইমামও। স্টোয়নিসের বলেই পতন হয় ৭০ রান করা এই ওপেনারের। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি গড়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অধিনায়ক বাবর। তবে দলের হয়ে লড়তে পারলেন না তিনি। ১৭৫ রানের মাথায় জাম্পার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে সৌদ শাকিলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রিজওয়ান। তবে ২৩২ রানের মাথায় শাকিল ফিরলে বিপদ বাড়ে পাকিস্তানের। এরপর ইফতিখারকে সঙ্গে নিয়ে রিজওয়ান প্রচেষ্টা চালালেও বেশি আগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের ২৭ বল বাকি থাকতেই ৩০৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। 
এর আগে, নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৭ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। আজ শুক্রবার ব্যাঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথম দিকের কয়েক ওভার দেখেশুনে খেললেও আস্তে আস্তে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। বিশেষ করে নবম ওভারে হারিস রউফ বলে এলে। তার করা নবম ওভারে ২৪ রান তুলে নেন দুই ওপেনার। রানের সেই চাকা এরপর শুধু সচল রেখেছেন এই দুইজন। প্রথম ১০ ওভারে আসে ৮২ রান। নিজের করা প্রথম ৩ ওভারে হারিস দেন ৪৭ রান। 
অস্ট্রেলিয়া তাদের দলীয় শতরান পূর্ণ করে ১২.৩ ওভারে। এরই মধ্যে মাত্র ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার। আর মার্শের অর্ধশতক আসে ৪০ বলে। অস্ট্রেলিয়ার দলীয় দুইশ রান পূর্ণ হয় ১৭৬ বলে। এর একটু পরই ৮৫ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার একটু পর কাটায় কাটায় ১০০ বলে শতরান পূর্ণ করেন এই দিনে জন্ম নেওয়া মিচেল মার্শ।
দুজনে সেঞ্চুরি করার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। তবে ২৫৯ রানে মিচেল মার্শকে থামিয়ে লাগাম টানেন শাহীন আফ্রিদি। তবে জুটির বিশ্বরেকর্ড হয়ে যায় এটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে এর চেয়ে বেশি রান তুলতে পারেনি আর কোনো জুটি। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারেরও সেঞ্চুরি করার প্রথম নজির এটি। ১০৮ বলে ১০ চার ও ৯ ছক্কায় নিজের ১২১ রানের ইনিংস সাজান মার্শ। শাহীনের বলেই কোনো রান করার আগে ফেরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্টিভেন স্মিথও। তবে একপাশে দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন ওয়ার্নার। ৩২৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে থামেন তিনি। শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়াকে ভালোই চেপে ধরেন পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৯তম ওভারের আগেই পরে যায় ৭ উইকেট। শেষ ওভারে এসে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন শাহীন। ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডকে ফেরালেও হ্যাটট্রিক পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৬৭ রানে থামে অজিরা। 
পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার শাহীনই। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩ উইকেট নিলেও ৮ ওভারে ৮৩ রান দিয়েছেন হারিস। 
প্রথম দুই ম্যাচে জিতলেও, বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফেরে প্যাট কামিন্সের দল।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email