বৃহস্পতিবার,২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঝালকাঠিতে কলেজ ছাত্রীকে হত্যার দায়ে সোহাগ মীরের ফাঁসি

ঝালকাঠিতে কলেজ ছাত্রীকে হত্যার দায়ে সোহাগ মীরের ফাঁসি

ঝালকাঠি (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ-ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে কলেজ ছাত্রী বেনজীর জাহান মুক্তাকে পরিকল্পিত ভাবে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যার দায়ে সোহাগ মীর (২৫)কে মৃতদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এ আদেশ প্রদান করেন। এসময় দন্ডপ্রাপ্ত সোহাগ মীর এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৪জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুস্তম আলী। একই সাথে তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত সোহাগ কলাপাড়া উপজেলার আনিপাড়া গ্রামের সোবাহান মীরার পুত্র। হত্যান্ডের শিকার বেনজির জাহান মুক্তা জেলার নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রামের জাহাঙ্গির হালাদারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সরকারী মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী সকালে মুক্তা কলেজে রওনা দিলে বাড়ির সামনে সোহাগের সাথে দেখা হলে ব্যবহৃত মুঠো ফোনটি নিয়ে যায় সোহাগ। দুপুরে কলেজ থেকে ফেরার পথে মোবাইলটি ফেরত দেয়ার কথা বলে। মুক্তা বাড়িতে গেলে ঘরের মুঠোফোনে কল দিয়ে মোবাইল দেয়ার কথা বলে কাপুড়িয়া বাড়ি সংলগ্ন কাচা রাস্তার উপরে বটগাছের নীচে আসতে বলে। সেখানে মুক্তা আসার পরে পুর্বপরিকল্পিতভাবে সোহাগের সাথে থাকা চাকু দিয়ে মুক্তার গলায় ছুরিকাঘাত করে। পরে মুক্তা গলা চেপে ধরে চিৎকার করে বাড়িতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

এঘটনায় মুক্তার পিতা জাহাঙ্গির হাওলাদার বাদী হয়ে পরের দিন ৫ ফেব্রুয়ারী নলছিটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলছিটির থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুল হালিম ওই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে সোহাগকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমাদেন। আদালত ২০২১ সালের ২২ সেপ্টম্বরে চার্জ গঠন করে ১৭জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email