রবিবার,১৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহী দুর্গাপুরে জনগণের হাতে এক লম্পট আটক

রাজশাহী দুর্গাপুরে জনগণের হাতে এক লম্পট আটক

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ-গত শুক্রবার(৩০) শে জুন রাতে ৯/৩০ মিনিটে, দুর্গাপুরে আলিপুর গ্রামে সোনালপাড়া নতুন মসজিদের সংলগ্ন মোঃ শাজাহান মিয়াজির বাড়ির জানালার পাশ থেকে ধাওয়া করে তাজউদ্দীন সরকার ( ৩৮) নামের, এক লম্পটকে আটক করেছে এলাকাবাসী। এ সময় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় কিছু লোকজন উক্ত বিষয়টি সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান। পরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে ও ছবি উঠানোর সময় ১ নং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কুদ্দুস নামের এক গ্রাম পুলিশ বাধা দেয় ও ভয়-ভীতি দেখায় এবং তিনি আরো বলেন সে চোর না ডাকাত যে তার ছবি উঠানো লাগবে কিন্তু সাংবাদিক যাওয়ার আগেই এলাকার স্থানীয় যুবকরা ফেসবুকে লাইভ এবং পোস্ট করেন। তখন তাকে স্থানীয়দের লাইভ বা পোস্ট করার সময় বাধা দিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি কোন সৎ উত্তর দিতে পারি নি
এ সময় এলাকার লোকজন জানান গ্রাম পুলিশ কুদ্দুস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা য় এইভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন তারা আরো জানান গ্রাম পুলিশ কুদ্দুসের ক্ষমতার অপব্যবহার ও উশৃংখল আচারণের জন্য এই সুশৃংখল বাহিনীর মান সম্মান ক্ষুন্ন বা নষ্ট হতে পারে বলে ধারণা করছেন। সাংবাদিক ও স্থানীয়রা এ বিষয়গুলি তার উদ্বোধন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

ঘটনাস্থলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার( ৩০) শে জুন দিবাগত রাতে আনুমানিক ৯/৩০ ঘটিকার সময় রাজশাহী জেলার
দুর্গাপুর উপজেলা ১ নং নওপাড়া ইউনিয়ন আওতাধীন ৬ নং ওয়ার্ড আলিপুর সোনাল পাড়া নতুন মসজিদ সংলগ্ন মোঃ শাজাহান মিয়াজির বাড়ির উত্তর পাশের রুমে পরিবার নিয়ে শুয়ে থাকা অবস্থা ও একান্ত মুহূর্তের কিছু দৃশ্য দেখার আশায়। একই এলাকার মৃত তাহের সরকারের ছেলে তাজউদ্দীন সরকার জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে এ সময় এলাকার স্থানীয় কিছু লোকজন তাকে জানালার পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পায় এবং তারা কে কে বলে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন এ সময় তাদের চিৎকার শুনে তাজউদ্দীন ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় । পরে এলাকার অনেক লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে অনেক খোঁজা খুঁজি করেন।, খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে একই এলাকার মৃত শামসুল ইসলামের বাড়ির পশ্চিম পাশ থেকে তাকে মোঃ রহমান,মোঃ রাব্বি মোঃ রাশেদ মোঃ রহেদ সহ আরো অনেকে আটক করেন , পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ সহ সমাজের প্রধান মাতব্বর এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এক গ্রাম্যশালী বৈঠকে মাফি ও মোসলেকা নামায় স্বাক্ষর করে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘৃণাতি ও জঘন্য কাজের না করার প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email