
এক বৌদ্ধ পরিবারের মানবিক পুরুষ লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী
বিশ্ব্রহ্মাণ্ডে মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা জীবনের পরে জীবিকার চেষ্টা করে। এ জানিতাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। এ সভ্যতায় রয়েছে। বচিত্র শ্রেণি পেশা ও বহুমুখী কর্ম পরিকল্পনা। বিশ্ববিখ্যাত নাট্যকার কবি উইলিয়াম শেকসপীয়ারের মতে এ জগৎ হচ্ছে একটি নাট্যমঞ্চ এখানে যে ভালো অভিনয় করতে পারে সে টিকে থাকে । এ টিকে থাকার নাম হচ্ছে সার্থকতা। মেধা, শ্রম, সততা, একাগ্রতা দিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করে এ সমাজে টিকে থাকতে হয়। টিকে থাকা মানুষের সংখ্যা সমাজে খুবই বেশি নেই। যারা টিকে আছে আমরা তাদের কথা বলি। তাদের অনুসরণ করি। তেমনি অনুসরণযোগ্য একটি আদর্শ পরিবার, যারা তিলে তিলে নিজেদেরকে গড়ে তুলেছেন – লায়ন ডা: মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী ও শ্রীমতি শেলী বড়ুয়া চৌধুরী।
মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী ১৯৪৯ সালের ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলায় পটিয়াহ করলগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত চিত্ত রঞ্জন বড়ুয়া চৌধুরী ছিলেন। একজন স্বনামধন্য চিত্র- শিল্পী ও সমাজ সেবক। তার মাতা প্রয়াতা স্নেহলতা বড়ুয়া চৌধুরী ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিণী। ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী ডি. এইচ. এম. এস. ডিগ্রীপ্রাপ্ত একজন হোমিওপ্যাথিকে চিকিৎসক ও সফল ঔষধ আমদানীকারক। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক কাল যাবত জার্মান, পর্তুগাল ও ভারত থেকে উন্নত মানের হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আমদানী করে দেশের কোটি মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন। এবং দক্ষতার সাথে ইন্টারন্যাশনাল হোমিও হলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।

লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে লায়ন্স ক্লাব অব চট্টগ্রাম এর আজীবন সদস্য ও পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন। তিনি চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি। হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড মেডিসিনাল প্ল্যান্ট ইম্পোর্টার্স এন্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টিপ্রচারসংঘ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহ সভাপতি ও সদস্য সেন্ট্রাল কমিটি। এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ পটিয়া শাখা। তিনি এফবিসিসিআই জেনারেল বডি মেম্বার। মেম্বার অব কমিটি হেলথ ও ফ্যামিলি বিভাগ এবং সদস্য দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি উন্নয়নে ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরীর রয়েছে অসামান্য অবদান, তিনি সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন বুড্ডিস্ট স্টাডিস এর আজীবন সদস্য; ট্রাস্টি বাংলাদেশে বৌদ্ধ সমিতি, ট্রাস্টি প্রান্তিক ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, ট্রাস্টি বিশুদ্ধান্দ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। সর্বজন শ্রদ্ধেয় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী, লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী, নারী শিক্ষা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন করল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজ গ্রাম করলে অমল চৌধুরী কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ভূমি দান করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেন বিশুদ্ধানন্দ সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার। ইহা ছাড়াও তিনি দেশের বহু মন্দির, মসজিদ ও উপাসনালয় উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা করেছেন। তিনি করল চৈতন্য ধানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও লোকনাথ মন্দিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ইন্ডিয়া বুদ্ধগয়া
বাংলাদেশ বৌদ্ধবিহার হলে আর্ট গ্যালারীর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের আর্থিক সহযোগিতা করে সমাজে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। লায়ন ডা. মুনুল বড়ুয়া চৌধুরী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন যেমন : আমেরিকা, জার্মানী, পর্তুগাল, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, হল্যান্ড, ইতালি, বেলজিয়াম, সুইডেন, জাপান, থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক, দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়, বাহরাইন, মিয়ানমার, নেপাল, ইন্ডিয়াসহ বহু দেশ ভ্রমণ করে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা সমাজে শিক্ষা সংস্কৃতি উন্নয়নে অবদান রাখছেন। সদা মানবহিতৈষী লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেশি ও বিদেশি বহু সংগঠন থেকে সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন।
২০০৮ সালে জার্মানী থেকে সর্বাধিক আমদানীকারক পুরস্কার। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সী এসোসিয়েশন পুরস্কার। ২০১২ সালে মহাত্মাগান্ধী পিস পুরস্কার । লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক ২০১৫ সালে মেন্ডিল সন্স কেলো এবং ২০১৫ সালে দি আউটস্ট্যান্ডিং ওয়ার্ল্ড বুড্ডিস্ট লীডার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়াও শতাধিক সংগঠন থেকে তিনি সম্মাননা পেয়েছেন ও সংবর্ধিত হয়েছেন।
লায়ন ডা. মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী ও শেলী বড়ুয়া দম্পতির সংসারে রয়েছে ২ পুত্র ১ কন্যা। কন্যা শর্মীটা বড়ুয়া চৌধুরী স্বামী সন্তানসহ বর্তমানে আমোরিকা প্রবাসী । পুত্র অভিষেক বড়ুয়া চৌধুরী ও অনিক রড়ুয়া চৌধুরী এরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পারিবারিক ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে দেশের আর্থিক উন্নতি ও সমাজ উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন।
দেশ জাতির কল্যাণ নিবেদিত এই আদর্শ পরিবারের প্রতি রইল আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা কালচারাল পার্কের পক্ষ থেকে আদর্শ পরিবার হিসেবে সম্মাননা জানতে পেরে আমরা কৃতার্থ ও গর্বিত। পরিবারের সকল সম্মানিত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ ও নিরোগ দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করছি।।