শুক্রবার,২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মুখস্ত বিদ্যা নয় বাস্তবসম্মত শিক্ষাই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ–এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম

মুখস্ত বিদ্যা নয় বাস্তবসম্মত শিক্ষাই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ–এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম

নিউজ ডেস্কঃ-বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়শন (বিকেএ) এর নতুন কারিকুলামে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সনদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে। স্মাট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট ছাত্র, স্মার্ট শিক্ষকদের প্রয়োজন। শিক্ষকদের শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে। তাদের শিক্ষার্থীদের মেধাকে বিকশিত করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজেশন করেছে। প্রতিটি স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়াম ক্লাস রুম ও আধুনিক ল্যাব করে দিয়েছে। ছাত্রদের প্রযুক্তির অপব্যবহার করা যাবে না। ফেসবুক-ইউটিউবে অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। এখন লেখাপড়া করার সময়, নিজকে গড়ে তোলার সময়। প্রযুক্তির ব্যবহার লেখাপড়ায় করে নিজেকে বিকশিত করতে হবে। নিজেকে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলতে হবে। বিএনপি ছাত্রদের হাতে তোলে দিয়েছিল অস্ত্র, আর আমরা ছাত্রদের হাতে কলম তোলে দিয়েছি। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রেখেছি। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে, পাশাপাশি পড়াশোনাও করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ অত্যন্ত আগ্রহভরে লক্ষ করছে, বাংলাদেশকে উন্নতসমৃদ্ধ ধনী দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার ভিশন ২০৪১ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গিতে কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আরেকধাপ এগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভিশনারি নেতা শেখ হাসিনার সাহসী ঘোষণা প্রদান ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৪টি পিলার তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট গভর্নেন্স। এই ৪টি পিলার বা ভিত বাস্তবায়নে প্রতিটি ক্ষেত্রের সূচনালগ্নে সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি চৌকস জনবল কাঠামো।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন করার লক্ষ্যে কেজি স্কুলগুলো নিজেদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকারি স্কুল গুলোর পাশাপাশি শুধু শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নয় হতাশাগ্রস্থ বেকারত্ব জীবন নিয়ে ঘুরাফেরা না করে সামাজিক কাজ হিসেবে মেনে নিয়ে কাজ করছে এবং দেশের অনেক বেকারত্ব দূর হচ্ছে। কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো এসোসিয়েশনের সুদক্ষ পরিচালনায় শিক্ষা প্রসারে চট্টগ্রাম এলাকায় বিশেষ ভুমিকা রাখছে। ১৯৫২ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যে সংগ্রামী চেতনার বীজ উপ্ত হয়েছিল তারই ফসল আমাদের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ। তিনি ৭ই মার্চের ভাষণ,সর্বোপরি দেশপ্রেমিক মানুষের অদম্য ভালবাসা একবুক তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে মাদকমুক্ত হয়ে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে সৃজনশীল কর্মকান্ড, বই পড়া ও খেলাধুলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিকেএ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হাজী এস এম হারুন-অর রশিদের সভাপতিত্বে ও সাজ্জাদুল করিম খান এবং নজরুল ইসলাম খান এর যৌথ সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, মহিলা কাউন্সিলর শাহিন আক্তার রোজী, অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব, সুনীল কুমার বিশ্বাস, লায়ন মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, অধ্যাপক ডক্টর শামসুদ্দীন শিশির, কামরুন নাহার, মোহাম্মদ আব্দুল অদুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, অধ্যাপক ডক্টর মনিরুজ্জামান, আবু সুফিয়ান টিপু, হাজী আব্দুল জব্বার,অধ্যক্ষ মো.ছৈয়দুল আজাদ, নূর মোহাম্মদ বাবলু, নুরুল আবছার, সফিক উল্যাহ বিএসসি, জাহিদুল ইসলাম, এড. হিমাদ্রি শেখর, মিনা খানম চৌধুরী, জয়নাব বেগম, আলতাফ হোসেন, শাহ আলম, মোহাম্মদ আজিজুল হক, কামাল হোসেন, এস এম সিরাজী, মোহাম্মদুল হক মাস্টার, যুবরাজ মল্লিক,মোহাম্মদ আজিম, ইসতিয়াক আহমেদ, শামীম শিকদার, এনাম হোসেন, শাহানাজ ইসলাম, মোহাম্মদ ইউনুচ আলম, ফরিদুল আলম, যুবরাজ মল্লিক, জিমি পালিত, চুমকি বড়–য়া, রিক্তা বড়–য়া ,শামসুল আবেদীন সবুজ,মো. হানিফ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email