
দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার
–– -এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম
চট্টগ্রাম হোমিও চিকিৎসক পরিষদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান, এনডিসি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারম্নল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ড. মোঃ আমিনুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল পেশাজীবীদের দাবিগুলির প্রতি লক্ষ্য রাখছেন তারেই ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথির ব্যাপারে তিনি অত্যšত্ম আগ্রহী এবং আস্থা রাখেন। হোমিওপ্যাথিক কল্যাণে তার মেয়াদকালের প্রথম সময়ে তিনি হোমিওপ্যাথি বোর্ডকে জমি দান করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর হোমিওপ্যাথির কল্যাণে বিভিন্ন কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং হোমিওপ্যাথি আইন ২০২৩ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন এবং জেলা উপজেলা ও প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেযার জন্য স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ রেখেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে আমার কোন কিছু করার সুযোগ থাকলে আমি প্রশাসনিকভাবে হোমিওপ্যাথদের স্বার্থে যেকোনো ভালো উদ্যোগে অংশীদার হতে আগ্রহী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারম্নল ইসলাম বলেন, দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার বিকাশের কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ সরকার ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। এই উদ্যোগগুলোকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করতে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিসহ সকল বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার ভূয়সী প্রসংসা করে তিনি বলেন, হোমিও চিকিৎসার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বিশ্বব্যাপী হোমিও চিকিৎসার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার ড়্গেেত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের ভূমিকাও উলেস্নখযোগ্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি সাফল্য অর্জন করেছে। আমাদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় প্রায় শতভাগ শিশুকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা টেকসই ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে যেতে চাই। এই লড়্গমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল উপাদানকে সরকার কাজে লাগাতে চাই। এজন্য হোমিওপ্যাথিসহ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে কাজ করতে হবে। আমার কোন কিছু করার সুযোগ থাকলে আমি হোমিওপ্যাথদের স্বার্থে যেকোনো ভালো উদ্যোগে কাজ করব।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফজলুল হক সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিড়্গা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ দিলীপ কুমার বনিক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায়, ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ডাঃ ইসরাফিল আলম মুন্সি, ডাঃ শহিদুল আলম, ডাঃ মনিরুল ইসলাম, ডঃ আব্দুল জলিল, ডাঃ এস এম ইমরান, ডাঃ শফিউর বশর, ডাঃ প্রমদ দাস, ডাঃ আনিসুর রহমান, ডাঃ রম্নপম রম্নদ্র, ডাঃ উজ্জ্বল দাস, ডাঃ আন্না রাণী প্রমুখ।

নিউজটি পড়েছেন : ১৬৫