শুক্রবার,২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

“রাস্তার পাশে ফুটন্ত পুষ্পের হাসি, গ্রামের যুবক জসিম উদ্দীন ফুলচাষী”

“রাস্তার পাশে ফুটন্ত পুষ্পের হাসি, গ্রামের যুবক জসিম উদ্দীন ফুলচাষী”

তৌফিক আলম চৌধুরী

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব যু্দ্ধ”যেখানে ছিল আবর্জনা স্তুপ, সেখানে গড়ে তুলেছে শখের ফুলের বাগান,
দেশটা একটি ফুল, এই যুদ্ধ যেন ফুলকে বাঁচাতে, জীবিকা তাগিদে সকাল থেকে জীবনযুদ্ধ, দিনশেষে সকল ক্লান্তি ভুলে মগ্ন হয় ফুলচাষে, কথা বলছি
চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়ের কানাইমাদারী গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দীনের, পেশায় অটো চালক হলেও স্বপ্ন তার অত্যন্ত মহৎ, গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা, কিংবা বিদ্যালয় সম্মুখ নয়ত রাস্তাঘাট যেখানে খালি জায়গা পাই সেখানেই তিনি ফুলের বাগানের উদ্যোগ নেন, ফুলের বাগানের ফলে একদিকে গ্রামের সৌন্দর্য বর্ধন হয়েছে অন্যদিকে রাস্তার পাশের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ হয়েছে, প্রভাতের সর্য উদয় হলে ,ফুলের ঘ্রাণে আপনাকে বিমোহিত করে নিবে;
পল্লি কবির ভাষায়,
“তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়; তুমি যাবে ভাই–“
এক থেকে দেড় বছর আগেও যেখানে ছিল পরিত্যক্ত ময়লারডিপো সেখানে তার হাতের ছোঁয়ায় হয়েছে পুষ্পরেণু,
তার কাছে জানতে চাইলে সে বলেন,
“পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যেমন ঈমানে অঙ্গ তেমনি দেশ প্রেমও তার অংশ; তাই আমি দেশকে ভালবেসে তা করি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, আর সেখানে যদি ফুলের বাগান করি তাহলে এলাকার সুন্দর্য বৃদ্ধি পাবে তাই আমি আমার উপার্জন থেকে অর্ধেক টাকা রেখে দিয়ে সমাজ ও দেশের খেদমত জন্য রাখি”
গ্রাম থেকে ইউনিয় পর্যায়েক্রমে উপজেলা ফুল বাগানের পাশাপাশি ফল-ফলাদি বৃক্ষরোপণ, রাস্তা মেরামত কার্যক্রম তিনি হাতে নিয়েছেন,
সহধর্মী, ২ মেয়ে ও ১ ছেলে’র সংসারে তিনি গাড়ি চালানোর পাশাপাশি ছোট্ট একটি ব্যবসার করে যে উপার্জন করে তার অর্ধেক দিয়ে পরিবারের চাহিদা মেটানোয় চেষ্টা করেন, বাকিটা দেশ ও সমাজের কল্যাণে ব্যয় করেন।
তার এই মহৎ কাজের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তাকে পুরুষ্কৃত করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email