বৃহস্পতিবার,২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না– বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আজ ১৭ মার্চ রোববার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচি শুরু হয় ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ করার মধ্য দিয়ে। এসময় বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই মহানগর-জেলা, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, আরআরএফ, সিআইডি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সমাজসেবা কার্যালয়, বিআরটিএ, সিনিয়র জেল সুপার, ডেপুটি পোস্ট মাষ্টার জেনারেলের কার্যালয়, আনসার-ভিডিপি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সর্বস্তরের জনসাধারণ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভাগীয় কমিশনার বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, রেঞ্জ ডিআইজি নুরেআলম মিনা, পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ্, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমেদ ও জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সরোয়ার কামাল। বক্তৃতা করেন। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। শেষে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন, হাতের লেখা, নৃত্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘ব’ তে বঙ্গবন্ধু ‘ব’ তে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এ দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্ব অপরিসীম। একটা সময় পাঠ্যপুস্তক থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল, সে কারণে অনেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানে না। আমি ছোট্ট শিশুদের প্রতি আহŸান জানায় তোমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর সাহসকে তোমাদের মনে ধারণ করো। জীবনকে গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এগিয়ে যেতে হবে। ভয়ভীতি ত্যাগ করে মানুষের তরে জীবনকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তবেই আমরা বিশে^র কাছে স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব, এখানেই জীবনের স্বার্থকতা নিহিত রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে শিশুদের প্রস্তুত হতে আহŸান জানায়। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলার জীবন কাহিনী বর্ণনা করে শিশুদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশু কিশোরদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠতে হবে। শিশু কিশোরদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তোমরা মাদক, মোবাইল, কিশোর গ্যাং কালচার থেকে দুরে থেকে নিজেকে অসাম্প্রদায়িক এবং বিজ্ঞানমনস্ক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে মিলাদ মাহফিল, দোয়া প্রার্থনা করা হয় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শিশু সদন, শিশু পরিবার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিভাগীয় তথ্য অফিস,জেলা তথ্য অফিস এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সারাদিন ডিসি হিল, সিআরবি, টাইগারপাস ও জিইসি মোড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় এবং ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। এছাড়াও সন্ধ্যা ৭টায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জাকরণের ব্যবস্থা করা হয়। 
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email