পরবর্তীতে পতেঙ্গা থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম জেলার কর্ণেল হাট এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী শামিম মাহমুদ@জহিরুল ইসলাম@বাপ্পি’কে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামী শামিম মাহমুদের তথ্য মতে একই এলাকা থেকে অপহরণের সাথে সম্পৃক্ত আরো দুজন আসামী আলাউদ্দিন ও তার পাতানো স্ত্রী আসমা বেগমে’কে আটক এবং অপহৃত শিশু ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অপহৃত শিশু উদ্ধার পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের পিতা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানায় শামিম মাহমুদ@জহিরুল ইসলাম@বাপ্পি’কে মুল আসামী এবং তার স্ত্রী আসমা বেগম ও আলাউদ্দিনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৪(০৯)১৬; ধারা-৭/৮;২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩)। মামলা রুজুর ০৬ মাস পর আসামী জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ার আসামীর অনুপস্থিতে বিজ্ঞ আদালত পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামী শামিম মাহমুদ@জহিরুল ইসলাম@বাপ্পি’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, উক্ত শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি শামিম মাহমুদ@জহিরুল ইসলাম@বাপ্পি চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ও র্যাব-৩, ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ১৮ আগস্ট ২০২৩ ইং বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী শামিম মাহমুদ@জহিরুল ইসলাম@বাপ্পি (৩৪), পিতা- আব্দুল মান্নান@নবিউল হক, সাং-দক্ষিণ করিমপুর, থানা- দাগনভূইয়া, জেলা- ফেনীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।