পূর্বের সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করে বিআরটিসি বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব এর দিক নির্দেশনায়, বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপো বর্তমান ম্যানেজার (অপাঃ) এর কার্যকালীন সময়ে উন্নয়নের সর্বস্তরে চলে গেছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের যোগদানের পূর্বে চট্টগ্রাম বাস ডিপোর মাসিক আয় ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষ হতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা সেই আয় বর্তমানে গিয়ে দাড়িয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা হতে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, যা বর্তমান চেয়ারম্যান এর নিরলস পরিশ্রম ও দিকনির্দেশনার ফলে সম্ভব হয়েছে। “আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন" এ লক্ষ্য নিয়ে বিআরটিসিসহ চট্টগ্রাম বাস ডিপো বর্তমানে লাভবান ডিপোতে পরিনত হয়েছে। ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ খ্রিঃ তারিখ বিআরটিসি বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পর হতে তার নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি মাসের ১ তারিখে ডিপোর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে যার ধারাবাহিকতা চট্টগ্রাম বাস ডিপোর বর্তমান ম্যানেজার মোঃ জুলফিকার আলী অব্যাহত রেখেছেন এবং প্রতি মাসের নিয়মিত বেতন পরিশোধের পাশাপাশি ডিপোর দীর্ঘদিন বসা বাসগুলো সচল করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বাস ডিপোর বর্তমান ম্যানেজার ০৫ জানুয়ারী 2022 খ্রিঃ তারিখ চট্টগ্রাম বাস ডিপোতে যোগদান করার পর চেয়ারম্যান মহোদ্বয়ের এর নির্দেশনা সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যেখানে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বাস ডিপো লোকসানে থাকলেও ২০২১ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম বাস ডিপো লাভবান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বাস ডিপোর নিজস্ব অর্থায়নে মোট ৩৪ টি বাসের ভারী মেরামত বাবদ ৬১ লক্ষ টাকা, বিভিন্ন অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ৪৩ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন বকেয়া সম্পূরক বিল বাবদ ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বাস ডিপোর উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে চট্টগ্রামে জনসাধারণের নিকট বিআরটিসির পরিচিতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিপোর সামনের মেইন গেইট আধুনিকায়ন, বাস মেরামত ওয়ার্কসপ সংস্কার, গাড়ি পরিস্কার র্যাম্প সংস্কার ও গাড়ি ধোয়ার জন্য আধুনিক মেশিন সংযোজন, ডিপোর উত্তর পাশের নালা ভরাট করে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিপোর সম্পূর্ণ ইয়ার্ড সলিং, কারিগরী কাজের সুবিধার্থে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, ডিপোর অফিস কক্ষ সমূহ সংস্কারসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ ও মসজিদ সংস্কার কাজ চলামান রয়েছে। অত্র ডিপোর মোট ৪০ টি বাসে ভিটিএস টেকার সংযোজিত রয়েছে, এসি বাসগুলোতে ফ্রি ওয়াই-ফাই সেবা প্রদান, ২৬ টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে সম্পূর্ণ ডিপোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান, যা প্রধান কার্যালয় কর্তৃক সরাসরি মনিটরিং করছে। এছাড়াও ডিপোর অফিসিয়াল কাজের গতি আনায়নের জন্য ২ টি ল্যাপটপ ও ৪-৫ টি কম্পিউটার দিয়ে আলাদা আইসিটি সেল গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বাস ডিপোতে কর্মরত জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ কন্ডাক্টর এর সাথে কথা বললে জানা যায়, “দীর্ঘদিন যাবৎ আমি চট্টগ্রাম বাস ডিপোতে কর্মরত। রয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয় বিআরটিসিতে যোগদানের পর হতে আমরা প্রতি মাসের ১ তারিখে নিজস্ব একাউন্টে বেতন পাচ্ছি এবং বর্তমান ম্যানেজার অভ্র ডিপোতে যোগদানে পর ডিপোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা তিনি পূর্বের কোন ম্যানেজার এর কার্যকালীন সময়ে দেখেন নাই”।
চট্টগ্রাম বাস ডিপোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হলেও মাত্র ২৮% কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শুধুমাত্র বর্তমান চেয়ারম্যান এর নিরঙ্কুশ প্রচেষ্টায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় এবং গত 03/02/2013 ইং তারিখ উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর হতে ডিপোর নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে ২৪ জন পুরুষ এবং ০৪ মহিলা মোট ২৮ জন এবং SEIP প্রকল্পের আওতায় দুস্থ গরিব এবং বেকার ৯৪ জন পুরুষ ০৪ জন মহিলা মোট ১০০ জন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে দক্ষ শিক্ষক ও প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমান ম্যানেজার এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান তিনি গত 05/01/2012 খ্রিঃ তারিখ হতে যোগদানের পর হতে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এবং বিআরটিসি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ক্রমে চট্টগ্রাম বাস ডিপোর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। তিনি যোগদানের পর হতেই নতুন রুটে ডিপোর রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে ১৪ টি রুটে বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর মোট ৭৬ টি বাস দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২ হতে ২.৫ লক্ষ যাত্রীদের মাঝে বিআরটিসি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী, স্টাফ বাস হিসেবে পরিচালনার মাধ্যমে বিআরটিসি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর স্কুলের শিক্ষার্থী যাতয়াতের নিরাপত্তার লক্ষ্যে ১০ টি দ্বিতল বাস দ্বারা স্কুল বাস সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও টাইগারপাস- ডিসি পার্ক-পতেঙ্গা রুটে পর্যটকদের চলাচলের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম এর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম বাস ডিপোর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সচিব সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ এবং জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব, চেয়ারম্যান বিআরটিসি কর্তৃক গত 10/06/2013 শুভ উদ্বোধনকৃত ছাদ খোলা বিআরটিসি পর্যটক বাস ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পর্যটক বাসগুলোতে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা, ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধাসহ, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা ও ডিটিএস সংযোজন করে পরিচালিত হচ্ছে।
বিআরটিসি'র প্রতিটি সেক্টরে বর্তমানে সচ্ছভাবে দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অদক্ষ কর্মচারীদের বিআরটিসি নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলা হচ্ছে। বর্তমান ম্যানেজার যোগদানের পর হতে চট্টগ্রাম বাস ডিপোর প্রায় ৩১ জন চালক কারিগর বিভিন্ন ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং তাদের কর্মদক্ষতা পূর্বের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে যেখানে চট্টগ্রাম বাস ডিপোর স্থায়ী + অস্থায়ীসহ মোট জনবল ছিল ১২০ জন সেখানে বর্তমানে স্থায়ী + অস্থায়ীসহ মোট জনবল ১৭০ জন। বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয় কর্তৃক সচ্ছ নিয়োগের মাধ্যমে ডিপোর প্রায় প্রতিটি শাখায় দক্ষ জনবল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। চেয়ারম্যান মহোদয়ের উন্নয়নের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে এবং বিআরটিসি 'কে আরো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ডিপোর ম্যানেজার/ইউনিট প্রধান হিসাবে আরো নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে বলে তিনি বলেন।