বুধবার,১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কয়েকদিনের মধ্যে ৩৬টি রাজনৈতিক দল সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে-বরকত উল্লাহ বুলু

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায়

কয়েকদিনের মধ্যে ৩৬টি রাজনৈতিক দল সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে-বরকত উল্লাহ বুলু

নিউ ডেক্সঃ–  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, শেখ হাসিনাকে হটাতে হলে সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। এখন বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি যে শেখ হাসিনা কখন গদি ছাড়বে। আজকে বিদেশী গণতান্ত্রিক দেশগুলো একটি কথায় বলছে, বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। বাংলাদেশে অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। একে সরাতে হবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিদায়ের ঘন্টা বাজিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাই কয়েকদিনের মধ্যে ৩৬টি রাজনৈতিক দল একসাথে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সে ঘোষনা আসার পর আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করবো। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

তিনি শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মেহনতি শ্রমিক জনতার মহা সমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

এসময় বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আগে যেখানে সর্ব্বোচ্চ সাজা সব মামলা মিলিয়ে ২০ বছর বা ৩০ বছর খাটলে চলে যেতো। কিন্তু শেখ হাসিনা এই ছয় মাসে একটা আইন করেছে। আপনার যদি ৫০ বা ১০০ টি মামলা থাকে সব মামলার একটির পাঁচ বছর বা ১০ বছর সাজা আপনাকে খাটতে হবে। আমরা হিসেব করে দেখেছি, শেখ হাসিনাকে যদি বিদায় দিতে না পারি তাহলে আমাদের কারও এক হাজার বছর, কারও দেড় হাজার বছর সাজা খাটতে হবে। সারাদেশে ৪০ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় টিকে যায় তাহলে আমাদের সবার পরিবারকে জেলখানা থেকে আমাদের লাশ নিয়ে আসতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, চলমান রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিক, মজুর, কৃষক, অসহায় শ্রমজীবী মানুষ অংশগ্রহণ করেনি ততক্ষণ পর্যন্ত অতীতে কোন আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেনি। শ্রমিক জনতা রাস্তায় নামলেই শাসকেরা মাথানত করে। শেখ হাসিনা কুট কলা কৌশলে জনগণকে আজকে জর্জরিত করে ফেলেছে। তাই বীর চট্টলার মানুষ ১৬ জুলাই দেশকে জাগিয়ে দিতে মহাসমাবেশ সফল করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আজকে সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই। আমরা সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে আছি। আমাদের বিজয় খুব কাছাকাছি। এই সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজাতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খন্ড বিখন্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তারা দেশে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। মহানগর বিএনপিই আগামী ১৬ জুলাই মেহনতী জনতার মহাসমাবেশের মাঠ পুরণ করে দিবে। সরকারের শত দমন নিপীড়নকে আমরা ভয় পাইনা। নেতাকর্মীদেরকে সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের বিজয়ের পদযাত্রা শুরু হয়েছে।

আবু সুফিয়ান বলেন, সারাদেশে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আশকারার কারণে ইতিমধ্যে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতার মোহ বাংলাদেশের চেয়েও প্রিয়।

প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন,
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সি. সহ সভাপতি ইদ্রিছ মিয়া, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহমেদ, উত্তর জেলার সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, কক্সবাজার জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন, মহিলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, রাঙ্গামাটি শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম, রেলওয়ে শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মন্জুর, বিভাগীয় শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক গাজী আইয়ুব আলী, মো. হারুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মজুমদার, রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

সংবাদ প্রেরক

ইদ্রিস আলী
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি
০১৮১৯৮৩২৪৯০

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email