শুক্রবার,২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জনৈক পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণার প্রতিবাদে প্রতিবাদীর বাড়ী হামলা

জনৈক পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণার প্রতিবাদে প্রতিবাদীর বাড়ী হামলা

আদিতমারী( লালমনিরহাট)প্রতিনিধিঃ-লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় একটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করে একঘরো ঘোষনার প্রতিবাদ করায় হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে এক মাতব্বরের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার(৭ জুলাই) আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগি পরিবার।

জানা যায় সকালে উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম দৌলজোর গ্রামে এ হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মাতব্বর ওই গ্রামের মৃত বক্তার মুন্সির ছেলে। তিনি পশ্চিম দৌলজোর মাষ্টার পাড়া জামে মসজিদের সভাপতি।

জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম দৌলজোর গ্রামের মাতব্বর সোলেমান আলীর জমির উপরে সড়কে দীর্ঘ ৩০ বছর আগে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে সরকার। সেই ব্রীজের পানির মুখ বন্ধ করে প্রতিবেশি মুদিদোকানদার মিজানুর রহমানের জমির উপর দিয়ে পানি নিস্কাশনের চেষ্টা করেন মাতব্বর সোলেমান আলী। এতে বাঁধা দিলে তার পরিবারকে সমাজচ্যুত ঘোষনা করেন পশ্চিম দৌলজোর মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মাতব্বর সোলেমান আলী।

ওই সমাজের একটি বিয়েতে মিজানুরের পরিবারকে দাওয়া দেয়া হয়। যা শুনে মাতব্বর ওই বিয়ের দাওয়াতে না যেতে সমাজের সবাইকে নিষেধ করেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাওয়াতে ওই পরিবারকে না যেতে দাওয়া ফেরত নেন বিয়ের বাড়ির পরিবার। ফলে সমাজচ্যুতির বিষয়টি ব্যাপক জানাজানি হয়। এক ঘরো হয়ে পড়ে মিজানুরের পরিবার।

শুক্রবার সকালে সমাজচ্যুতির কারন জানতে চাইলে মিজানুরের ভগ্নপতি হায়দার আলীকে বেধম মারপিট ও তার বাড়ি ঘর মুদির দোকান ভাংচুর করে তাদেরকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে মাতব্বর সোলেমান আলী ও তার লোকজন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের ফোনে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে আহতদের আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মাতব্বর সোলেমানসহ ৬জনের জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুদি দোকানদার মিজানুর রহমান।

পশ্চিম দৌলজোর মাষ্টারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মশিউর রহমান বলেন, সমাজচ্যুত করার বিষয়টি আমি জানি না। মসজিদ কমিটি এ সমাজ পরিচালনা করেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মাতব্বর সোলেমান আলী বলেন, মিজানুরের মা বোন স্ত্রীরা সমাজের কারও কথা মানে না। বেপরোয়া জীবন যাপন করে। তাই সমাজের লোকজন সবাই বৈঠক করে তাদের সমাজ্যুচত করে এক ঘরো করা হয়েছে। এক ঘরো করায় তারা আমাকে মারধর করেছে। এ খবরে সমাজের সবাই মিলে তাদের বাড়িতে হামলা করেছে। আমি ভাংচুর করেনি। আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email