বোয়ালখালী প্রতিনিধিঃ- বেতনের দাবিতে সারাদিন গেইটে দাঁড়িয়ে আছে ফিগো ফ্যাশন গার্মেন্টস কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বোয়ালখালীস্থ বড়ুয়ার টেক নামে অভিহিত ফিগো ফ্যাশনে।
সূত্রে জানা যায়, উক্ত ফিগো ফ্যাশনের মালিক বাবু সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য এইভাবে অনেকদিন যাবত এই শ্রমজীবী গার্মেন্টস কর্মীদেরকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বেতনের অনিয়ম করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আমাদের প্রতিনিধি উক্ত গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের সামনে গেলে প্রায় ৬০/৭০ জন গার্মেন্টন শ্রমিককে অনশনের অভিপ্রায়ে পরিদর্শন করেন।
একপর্যায়ে তারা তাদের পাওনা কথা বলতে থাকেন। জনৈক কর্মী বলেন, বেতনর অনিয়ম পরিবেশটা ফিগো ফ্যাশন মালিকের একটি ইচ্ছাকৃত অপব্যবহার। আমরা সারা মাস পরিশ্রম দিয়ে থাকি কিন্তু বেতনের বেলায় তিনি সবসময়ই অনিয়ন করেন।
আরো বলেন মালিকের নিয়োগকৃত দারোয়ান একসময় তাদেরকে বলেন" কর্তৃপক্ষ ভাড়া করা লোক দিয়ে পিঠাবেন" আমাদের মধ্যে কারো দুই মাসের, কারো এক মাসের বেতন ও ওঠি বাকী আছে বলেই আমরা প্রতিষ্ঠান দ্বারস্থ হয়েছি,। গার্মেন্টস শিল্পীর প্রথম শক্তির উৎস কর্মী কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের শ্রম দিয়ে আয় করে আমাদেরকে ফ্যাক্টরির দাড়োয়াণ দিয়ে শ্বাসাচ্ছেন।আমরা এই অবৈধতার বিচার প্রার্থনা করি ও আমাদের ন্যায্য বেতন ও ওটি আমরা চাই।
গার্মেন্টসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সাইফুল নামে এক ব্যক্তি কে মুঠোফোনে কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। উপস্থিত গার্মেন্সটস কর্মীরা বলতে থাকেন "তিনি নাকি মেইন গেইট বন্ধ করে মোবাইল বন্ধ করে প্রতিষ্ঠান ভিতরে বসে আছেন"
তৎক্ষণাৎ অন্য এক গার্মেন্টস কর্মকর্তা (সম্রাট)কে পেলে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে "তিনি কর্মীদের এই অভিযোগকে সত্য বলে স্বীকার করেন "
উক্ত গার্মেন্টসের সম্মুখে বেশ পরিমাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ পরিলক্ষিত হয় । ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বোয়ালখালী থানা প্রশাসনের কাছে যোগাযোগ করতে বলেন।
বোয়ালখালীর পুলিশ-প্রশাসনের জনৈক উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন "মালিকের সাথে কথা বলে একটি সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছেন, আগামীকাল ১৪ ই জুন মোট পাওনার অর্ধেকাংশ পরিশোধ করবেন অন্য অর্ধেকাংশ আগামী ২০ শে জুন পরিশোধ করবেন বলে জানান।