গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন-শিকলবাহা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৈয়ব আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫) ও তার ছেলে মো. পারভেজ (২৫)।
এছাড়া তৈয়ব আহমেদের আরও দুই ছেলে মো. আরজু ও মো. সিফাত গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা যায়,‘বাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তা নিয়ে তৈয়বের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী ইমরানের পূর্বে পারিবারিক বিরোধ ছিল।পূর্বেও দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারিও হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে আবারও বাকবিতান্ডবে মাধ্যমে একপর্যায়ে উভয়পক্ষ মারামারি শুরু করে।’‘সেখানে প্রতিপক্ষের হামলায় হোসনে আরা ও তার ছেলে গুরুতর আহত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। উভয়ের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।’
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কর্নফুলি থানা অফিসার ইন চার্জ দুলাল মাহমুদ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক দৈনিক শুভেচ্ছা প্রতিদিনকে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আরও দু’জন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ছাড়া এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সেই বিরোধ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হয়। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছিল।
‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৈয়বের পরিবারের সদস্যরা তাদের দাবি করা জায়গায় স্থায়ী দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে। এসময় মৃত মোহাম্মদ আলীর পাঁচ ছেলে মহসীন, মোসলেম, মুরাদ, টিপু ও ইমরান গিয়ে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হলে মহসীন, মোসলেম ও ইমরান মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হোসনে আরা ও তার তিন ছেলের মাথায় আঘাত করলে হোসনে আরা ও তার ছেলে পারভেজ নিহত হয়েছেন।