নিহত আশিক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম চাঁদ মিয়া, মায়ের নাম আকলিমা বেগম। কৃষক বাবার বড় ছেলে মাতৃহারা আশিক উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাত মাস আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার সংঘর্ষে মাথায় আঘাত লেগে আহত হন আশিক। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে গত ১৮ আগস্ট ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার মারা যান।
আশিকের ছোট ভাই আতিক বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেকের তাগিদে ৪ আগস্ট আমি ও ভাইয়া আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের লোকজনের ঢিল ও পিটুনিতে আমিও আহত হয়েছিলাম। ভাইয়া মাথায় আঘাত পেয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। কিন্তু আঘাতের কারণে তার বমি হয়। প্রচণ্ড জ্বর আসে। 

‘পরে তাকে রংপুর হয়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না। চিকিৎসকেরা বলেছেন, আঘাতের কারণে তার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছিল।’
আতিক আরও জানান, আজ আশিকের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা যান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আশিকের জানাজা শেষে তাঁর লাশ কুড়িগ্রামে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সোমবার সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এর আগে কুড়িগ্রামের তিনজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তাঁদের লাশ কুড়িগ্রামে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করা হয়।